ঢাকা, সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন
কমিউনিটি ক্লিনিক আছে, নেই যাতায়াতের রাস্তা
মোস্তাফিজুর রহমান, সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের  চর ধারাবর্ষা কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকটি পাকা সড়ক থেকে ২শত মিটার দূরে নির্মাণ করায় ও যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় ৬ বছর ধরে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।স্হানীয়  এলাকাবাসী ক্লিনিকটিতে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। চর ধারাবর্ষা কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক,এলাকাবাসী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সরেজমিন  সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের চর ধারাবর্ষা গ্রামের হাসমত আলী ২০১৪ সালে কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক নির্মাণ করার জন্য ৮ শতক জমি কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে দান করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২০১৫ সালের জুন মাসে চর ধারাবর্ষা কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকটি গ্রামের মানুষদের চিকিৎসার জন্য চালু করা হয়। স্বাস্থ্য ক্লিনিকটি পাকা সড়ক থেকে ২শত মিটার দূরে আবাদি জমির মধ্যে এমনকি নিচু জায়গায় নির্মাণ করায় ও যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় ৬ বছর ধরে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।চিকিৎসা সেবা নিতে আসা গ্রামের মানুষজনকে পাকা সড়ক থেকে নেমে ক্ষেতের আইল দিয়ে স্বাস্থ্য ক্লিনিকে যেতে হয়। ক্লিনিকটি নিচু জায়গায় নির্মাণ করায়  বর্ষাকালে তিন মাস চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকে। ধারাবর্ষা গ্রামের মোকাদ্দেস আলী(৭০) জানান,ক্ষেতের আইল দিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়। ফসলি জমির মধ্য দিয়ে হেটে গেলে জমির মালিক  গালাগালি পারে।সরকার আমাগো লাইগা হাসপাতাল কইরে দিছে। এহন হাসপাতালে যাইতে না পাইরে আমরা চিকিৎসা পাইতাছিনা।

চর ধারাবর্ষা কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকের ( সিএইচসিপি)আছমাউল হোসনা জানান,স্বাস্থ্য ক্লিনিকে যাতায়াতের সড়ক না থাকায় প্রতিদিন কষ্ট করে আসা যাওয়া করতে  হয়।মানুষজনকে সড়ক থেকে নিচে নেমে ক্লিনিকে আসতে হয় আবার উপরে উঠতে হয়।ক্লিনিকে একবার কোন রোগী আসলে আর দ্বিতীয় বার আসতে চায় না।

স্থানীয় ধারাবর্ষা গ্রামের ইউপি সদস্য আলম মিয়া জানান,যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় ৬ বছর ধরে গ্রামের মানুষ ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান(ইউপি) মনসুর আলী খান বলেন,কমিউনিটি ক্লিনিকে যাতায়াতের জন্য কেউ জমি না দেওয়ায় সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন,জমি দেওয়া হলেই সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গাজী রফিকুল হক বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এক্স

x