ভুট্টা চাষে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্থানীয় কৃষকের ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার ভাগ্যকুল, আটপাড়া, বীরতারা, তন্তর এলাকায় জমিতে ভুট্টার মোচা পরিপক্ক হচ্ছে। কিছুদিন পরেই কৃষক ভুট্টা ঘরে তুলবেন। গো-খাদ্য, মুরগিসহ বিভিন্ন পশুপাখির খাদ্য তৈরীতে দানাদার ভুট্টার বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারে এ চাষে কদর বাড়ছে। প্রতিমণ দানাদার ভুট্টার বর্তমান বাজারদর ৭শ থেকে ৮শ টাকা।
এছাড়া সবুজ ঘাসের বিকল্প হিসেবে কাঁচা ভুট্টা গাছ থেকে তৈরী হচ্ছে স্যালাইস। ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা স্যালাইস বিক্রি করা হয় সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ টাকা। স্যালাইস তৈরীর জন্য উপজেলার ভাগ্যকুল এলাকার পদ্মার চরে শতশত বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করা হচ্ছে। সরকারি এসব জমিতে একটি সিন্ডিকেট গো-খাদ্য স্যালাইস বাণিজ্য করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ভাগ্যকুল, বীরতারা ও আটপাড়া এলাকায় বেশ কিছু জমিতে ভুট্টার চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে জমিতে ভুট্টার মোচা এসেছে। ধারনা করা হচ্ছে আগামী মাসে জমি থেকে এসব ভুট্টা তোলা হবে। কোনো কোনো জমিতে আলু উত্তোলনের পর কৃষক ভুট্টার আবাদ করছে। অপরদিকে ভাগ্যকুল ও বাঘড়া ইউনিয়নের পদ্মার চরে ভুট্টার চাষ হচ্ছে। জানা যায়, একটি সিন্ডিকেট চরে প্রায় ৫শ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করছেন। কাঁচা ভুট্টাগাছ থেকে স্যালাইস তৈরী করা হবে। বীজ বপনের ৭৫ দিনের মধ্যে ভুট্টার মোচা আসার আগেই জমি থেকে গাছ তোলা হবে। পরে মেশিনে এসব তাজা ভুট্টাগাছ ছোট ছোট আকারে কেটে স্যালাইস তৈরী করে প্যাকেটজাত করা হবে।