টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাইচের নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এছাড়াও কারিগরদের পাশাপাশি পুরনো বাইচের নৌকাগুলোও মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নৌকার মাঝিরা। এ মৌসুমে নৌকার কারিগরদের একটুও দম ফেলার ফুসরত নেই। তবে সারাবছর নৌকা তৈরির কোনো কাজ না থাকলেও বর্ষা মৌসুমের জন্য অপেক্ষায় থাকেন কারিগররা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কালিহাতীর পাইকড়া বিভিন্ন এলাকাসহ ইউনিয়নের কোনাবাড়ী গ্রামের আব্দুল আলী এবং আব্দুর হাইর অর্থয়ায়নে ৭১ হাত নৌকা তৈরীতে খরচ হচ্ছে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কারিগররা তাদের নিপূণ ছোঁয়ায় বাইচের বড় নৌকা বানাচ্ছে। এই নতুন নৌকাটির নাম করন হইয়েছ “সোনার বাংলা” । কেউ নৌকাগুলোর রঙ করতে আলকাতরা ও গাবের পানি ব্যবহার করছে। কেউ করাত দিয়ে কাঠ কাটছে কেউ হাতুড়ি দিয়ে নৌকায় পেরেক লাগাতে ব্যস্ত।
এরই মাঝে কথা হয় নৌকা তৈরির কারিগর কালিহাতী উপজেলার দুরগাপুর ইউনিয়নের দুরগাপুর গ্রামের মোকছেদ মোল্লার ছেলে নৌকার কারিগর আব্দুর রহিমের সাথে তিনি বলেন এই নৌকা তৈরীতে ১৫ দিন সময়ে ৪৫ জন কারিগর লাগবে। ছোট একটি নৌকা তৈরীতে সময় লাগে দুই দিন। নৌকা তৈরির জন্য কারিগরদের পারিশ্রমিক দেয়া হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় নৌকার চেয়ে ছোট নৌকার চাহিদা বেশি। এতে প্রতিটি বড় ৭১ হাত নৌকা বানাতে ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা এবং ১৪ হাতের নৌকা বানাতে ৭ হাজার পাঁচশত থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। ছোট নৌকা গুলা বিক্রি করা যায় নয় থেকে ১০ হাজার টাকায়। এসব নৌকাগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে- শিমুল, আম, কাঁঠাল, মেহগনি, ইউকালেক্টর, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ। বড় নৌকাতে ব্যবহার হয় গজাড়ি কাঠ।
আব্দুল আলী এবং আব্দুর হাই জানান, আমরা আমাদের গ্রামীন ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নিজস্ব অর্থয়ানে সোনার বাংলা নামে এই বাইচের নৌকাটি তৈরী করছি।