জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ৩ নং ডোয়াইল ইউনিয়নের চরবালিয়া পূর্ব পাড়া গ্রামে সুমর আলীর ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ইয়াছিন অন্তর( ২০)কে দীর্ঘদিন যাবৎ খোলা আকাশের নিচে লোহার শিকল দিয়ে বাশঁ ঝাড়ের সাথে বেধে রাখা হয়েছে।
সরেজমিন ও পরিবার সূত্রে জানা যায়,ভারসাম্যহীন ইয়াছিন অন্তর ছোট বেলা থেকে মানসিকভাবে ভাল থাকলেও ৬ বৎসর পূর্ব থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।সে কয়েক বার বাড়ি থেকে হারিয়েও যায়।অনেক খোঁজাখুঁজির পর ইয়াছিনের পরিবার ইয়াছিনকে খোঁজে পায়। ইয়াছিনের বাবা ভূমিহীন দিনমজুর হওয়ায় ইয়াছিনকে সব সময় বাশঁ ঝাড়ের মধ্যে বেধে রাখতে হয় । সেখানেই মলমূত্র ত্যাগ করে।সব সময় বিবস্ত্র অবস্হায় থাকে।কাপড় পরিধান করিয়ে দিলেও কাপড় দাত ও হাত দিয়ে ছিড়ে ফেলে। বাশঁ ঝাড়ের আশে পাশে ডোবা।ডোবাতে মশা মাছির উপদ্রব বেশী।রোদ বৃষ্টি দিন রাত সব সময় ইয়াছিনকে বাশঁ ঝাড়ের মধ্যেই রাখা হয়।ইয়াছিনের বাবার থাকার জন্য ছোট একটি ঘর রয়েছে। সেখানে তিনি তার স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে বাস করে। ঘরটি ছোট হওয়ায় ইয়াছিনকে ঘরের মধ্যে রাখাও সম্ভব হচ্ছে না।
ইয়াছিনের বাবা সুমর আলী বলেন,আমরা গরিব মানুষ।টাকা পয়সা কোথায় পামু।পোলাডারে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারলাম না।তাই আমি মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এব্যাপারে স্হানীয় লাভলু মিয়া জানান,আমাদের মানবিক দৃষ্টি কোণ থেকে হলেও ভারসাম্যহীন ইয়াছিনকে চিকিৎসা করানো উচিত।তাই আমি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদেরকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
কথা হলে স্হানীয় ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান জানান,আমি একটি প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছি।এ ছাড়া তো আর আমার কিছুই করার নাই।
এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, এ তথ্যটা আমার জানা নেই।প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে।তাকে অবশ্যই প্রপার চিকিৎসা করতে হবে।ফ্যামিলির সম্ভব না হলে সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা নিয়ে করতে হবে।এটা আমাদের সবারই দায়িত্ব।এটা না করার কোন সুযোগ নেই।