ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বেশ কয়েকটি বেসরকারি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা পরবর্তী সারা দেশের ন্যায় উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও উপজেলার গোন্দারদিয়া, গাড়াখোলা, ভুষণা, নওপাড়া ও আশাপুর এলাকার অন্তত ৫টি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর খুলবে না। করোনায় ব্যয় মেটাতে না পেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি। চলতি বছরের প্রথম দিকে স্কুল ভাড়া সহ নানাবিধ খরচ দিতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার গোন্দারদিয়া এলাকার ৭ বছরের পুরোনো রহিমা মেমোরিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুল।
বেঞ্চ আর টেবিল আর বোর্ড যেন লাকড়িতে পরিণত হয়েছে। স্কুলটি এখন পরিত্যক্ত বাড়ি। প্রধান শিক্ষক মোঃ আশিকুর রহমান মোল্যা জানান ৫ জন শিক্ষক ও ১ জন দপ্তরী নিয়ে স্কুলটি ভালোমত চলছিলো। প্রথম সময়ে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা একশোর উপরে থাকলেও করোনার আগে ৮০ জনের মত ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন করোনার কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের সংসার চলাতে হিমসিম খেত। স্কুলের ভবনের ভাড়া বকেয়া রয়েছে।
স্কুলটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি বলেন বিগত ৬-৭ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে বাচ্চাদের জন্য কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুলটি পরিচালনা করেছি। ইচ্ছা ছিলো স্কুলটিকে বড় করে ভালো স্থানে নিয়ে যাবো। ইতিমধ্যে আসেপাশের সকল শিক্ষকদের সাথে কথা বলে কিন্ডারগার্টেন এস্যোসিয়েশন গঠন করেছিলাম। স্কুল খোলার পরিকল্পনা চলছিলো – করোনায় সব শেষ করে দিলো। মেরিন একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম ঢালী বলেন করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের বেতন দিতে পারিনি। আমাদের মত অনেকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান খুললেও ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছেন না। যে সকল বেসরকারি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো টিকে রয়েছে তাদের বেশির ভাগেরই রয়েছে নিজস্ব জায়গা ও ভবন। ফলে খরচ সামলিয়ে টিকে আছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, উপজেলায় বেসরকারি বেশ কিছু কেজি স্কুল রয়েছে। করোনায় আয় না থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক খরচ চালানো কঠিন। করোনায় সপ্তাহে শ্রেণী ভিত্তিক ১ দিন ক্লাস করে পুরো মাসের বেতনও হয়তো দেব না অভিভাবকেরা। এজন্য অনেক স্কুলের ব্যয় মেটাতে হিমসিম খাবেন। তবে বন্ধ হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।