ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন
নগরকান্দায় রাজাকার, অমুক্তিযোদ্ধারাই মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়, যাচাই বাছাইর নামে নাটক
মিজানুর রহমান নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের  নগরকান্দায় রাজাকারের তালিকায় নাম থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইতে হাজির না হয়ে মুক্তিযোদ্ধা বহাল রাজাকার সাহেদ আলী ফকির  হয়ে গেলো মুক্তিযোদ্ধা শামাবুদ্দিন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী খান তার দুটি জন্ম সনদ থাকায় মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ পড়লে ও অমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় বহাল থাকায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যুদ্ধ না করেই টাকা দিয়ে বা আত্মীয়তায় যুদ্ধকালীন কমান্ডাররা এসকল অমুক্তিযোদ্ধাদের মিথ্যা স্বাক্ষী সাজিয়ে বানিয়ে দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আজ গোটা বাঙালী জাতি সেসকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের প্রজন্মের কাছে লাঞ্চিত।

সরকারি সকল সুবিধা ভোগের পাশাপাশি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছে কলংকিত,লাঞ্চিত। সে সকল মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মেয়েরা মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় সরকারি চাকরিতে বড় বড় চেয়ার দখল করে করছে রামরাজত্ব। নগরকান্দা উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় অর্ধশতাদিক অমুক্তিযোদ্ধাকে অর্থের বিনিময়ে বানিয়ে দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা এমন কি তার শশুর –শ্যালক ও পাড়া প্রতিবেশীকে বানিয়ে নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা সুত্র।

কে রোধ করবে ওদের বার বার যাচাই-বাছাই হয় কিন্তু তদন্ত সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই হয়না।হাজার টাকার মিথ্যা স্বাক্ষীতেই সব চূড়ান্ত কেন তাদের হাতে খোলা মাঠে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে যদি বলা হয় এটি চালানোর জন্য, যদি বলা হতো অস্ত্রটি খুলে সেটিং করো, যদি তদন্ত টিম দিয়ে গপনে এলাকার ৮০ উর্ধ বয়সী মুরব্বিদের কাছে তথ্য জানতো।যুদ্ধ কালীন এখনো অনেক মানুষ এলাকায় বেঁচে আছে তাদের কাছে একটু জিজ্ঞেস করলেই তারা মুক্তিযোদ্ধা কিনা সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসত।জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আসল মুক্তিযোদ্ধারা ছ্যেকে বের হয়ে আসত আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার ধরা পড়ে বাদ পড়ে যেত।আজ রাজাকার সাহেদ আলী ফকির, অমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান, ওমর আলী খান এরা মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকায় নাম লেখাতে পারতেন না।এমনকি এদের মতোন অনেক অমুক্তিযোদ্বারা মুক্তিযোদ্বা হতে পারতোনা।

আজও বেচে আছেন যুদ্ধকালীন প্রত্যাক্ষদর্শী অনেকে।এরা হয়তো কিছুদিন পর সে সকল যুদ্ধকালীন প্রত্যাক্ষরা থাকবেন না সেদিন এসকল রাজাকার,অমুক্তিযোদ্ধারাই চির সরনীয় বরনীয় হয়ে থাকবেন।তাদের প্রজন্মরা দাপিয়ে বেড়াবে বংলার মাটিতে।সরকারের এবিষয় নিয়ে আবারও সঠিক তথ্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করে ভুয়াদের আইনের আওতায় নিয়ে গোটা বাঙালী জাতির সম্মান বাচাতে কিছু করনীয় দরকার মনে করেন জনগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x