ফেনী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীর চাপ দিনদিনই বাড়ছে। ৩০ শয্যার বিপরীতে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১শ ৫ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। শয্যা না পেয়ে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেক গুরুতর অসুস্থ রোগীও এখানে শয্যা না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, কয়েকদিন ধরে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে এলে নমুনা নিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন এমন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। নির্ধারিত ৩০ শয্যার মধ্যে আরটিপিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় ৩৭ জন পজেটিভ রোগীই ভর্তি রয়েছে। ৭৭ জনকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। আইসিইউতে ১০টি শয্যার সবকটিতে রোগী রয়েছে।
সোমবার রাতে করোনায় উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন সোমবার ভর্তি ছিলো ৯৭ জন। ববিবার ভর্তি ছিলো ৮৮ জন রোগী। এদিকে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেবা দিতে গিয়ে একজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামে রোগীর সংখ্যা বেশি বাড়ছে। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, সবাইকে সচেতন হতে হবে। করোনা থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৬ জনের শরীরে করোনা রোগের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণহার ৫৭ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন একজন।