ঢাকা, সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
পরশুরামে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক জেলে; জামিনে এসে মারধরের অভিযোগে আবারো জেলে
পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী

ফেনীর পরশুরামে কলেজ রোড সংলগ্ন তাহসিনুল কোরআন ওয়াল সুন্নাহ হেফজ মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে মাহমুদুল হোসেন রাকিব (৪২) নামের এক শিক্ষককে আটক করেছে পরশুরাম মডেল থানা পুলিশ।

রবিবার (২২আগষ্ট) দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। আটককৃত শিক্ষক রাবিক হেফজ বিভাগে দুই শিক্ষার্থী আবু বক্কর ছিদ্দিক(১০), মোঃ জাবেদ(১২) কে বেধড়ক মারধর করে। তাদের মুখ, পিঠসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক জখমের চিহ্ন রয়েছে।

শিক্ষক রাকিব পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ গুথুমা গ্রামের আবু ইউছুপের ছেলে। অভিযুক্ত রাকিব এর আগে একই মাদ্রাসায় এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার অভিযোগে জেল থেকে কিছুদিন আগে জামিনে ছাড়া পায়।

শনিবার রাতে মাদ্রাসা শিক্ষকের হাত থেকে দ্বিতীয় দফায় মারধর থেকে বাচতে দুই শিক্ষার্থী পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর ওই শিক্ষক রাতে বিভিন্ন স্থানে খুজাখুজি করতে গিয়ে পরশুরাম থানার একাধিক টহল পুলিশের হাতে ধরা পরে।

মামলার এজহার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে শনিবার (২১আগষ্ট) পরশুরাম থানার ওসি মু.খালেদ দাইয়ানের নেতৃত্বে এসআই মোস্তাক রাত দেড়টার দিকে টহলরত অবস্থায় আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজে বারান্দায় দুটি শিশুকে বসে থাকতে দেখে তাদের উদ্বার করে পরশুরাম থানায় নিয়ে রাতের খাবার খেতে দেন। এসময় দুই শিক্ষার্থী পুলিশকে জানান তাদেরকে তাহসিনুল কোরআন ওয়াল সুন্নাহ হেফজ মাদ্রাসার শিক্ষক সবক বলতে না পারায় মাহমুদুল হোসেন রাকিব বেধড়ক মারধর করে। রাতে দ্বিতীয় দফা মারধর করবে বলে ভয়ভীতি দেখালে দুই শিক্ষার্থী দেয়াল টপকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে নাসিম কলেজে বারান্দায় লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে।

পরশুরাম মডেল থানার ওসি মু.খালেদ দাইয়ান জানান, রাতে টহলরত অবস্থায় দুই শিশুকে উদ্বার করা হয়। তাদের মুখে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় পড়া না পারায় তাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

x