শুক্রবার লকডাউনের দ্বিতীয় দবসে সকাল থেকে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহৗ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ-আল-মাহফুজ এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ-আল-মাহফুজ জানান, কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। তারপরেও অনেক মানুষজন বিনা প্রয়োজনে বাসার বাহিরে আসার চেষ্টা করছে, তাই কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা বিনা কারণে ব্যক্তিগত যানবাহনে করে চলাফেরা করায় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে ১২টি মামলার মাধ্যমে ২৪ হাজার ৫শত টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, তারা আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি মানুষকে সচেতনও করে যাচ্ছেন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী সাভার উপজেলায় লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বৃন্দ , সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে দিনব্যাপী অভিযান, মোবাইল কোর্ট ও টহল পরিচালনা করা হয়। যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে সাভার মডেল থানা পুলিশ এবং আশুলিয়া থানা পুলিশ সাভার উপজেলার প্রত্যেকটি মহাসড়ক এবং সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন করেছে।
গতকাল বৃজস্পতিবার সাভার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবং হাটবাজারে ৫জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।অভিযানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা এবং আইন ভঙ্গের অপরাধে ৩৯ জন ব্যক্তি, দোকান মালিককে ৭৮৭০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা এবং সচেতনতার মাধ্যমেই বিজয় লাভ করা সম্ভব।এসময় সকল নাগরিকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ সরকারের নির্দেশনাগুলো মেনে চলার অনুরোধ করে সরকারকে সহযোগিতা করার আহবান জানানো হয়।