ফেনীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল(৩২) এর বিরুদ্ধে শনিবার রাতে বিবি রোখসানা আক্তার লিপি নামে এক ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা সহযোগিদের আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, শহরের মধ্যম চাড়িপুর এলাকার আবুল বশর বাদশার মেয়ে বিবি রোখসানা আক্তার লিপি শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের গাজী হোটেল সংলগ্ন নাছির ম্যানশনে ভাড়া বাসায় থাকত। সে এসি মার্কেটের চায়না বাজারে কর্মরত রয়েছে। লিপির সাথে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলালের দীর্ঘ দুই বছর যাবত প্রেম ভালোবাসা চলে আসছে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিপির সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায় ছাত্রদলের এ নেতা।পরবর্তীতে বিয়ে করে লিপিকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ছাত্রদল নেতা দুলালের উপর চাপ প্রয়োগ করলে তাঁর (লিপি) বাসায় হুজুর এনে দুলাল বিয়ে করলেও কাবিননামা পরে করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
৭ জুন ছাত্রদল নেতা দুলাল কাবিননামা না করে দেওয়ার ঘোষণা দিলে ১১ জুন লিপি এক সালিসি বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকের সিদ্বান্ত অনুযায়ী ২০ লক্ষ টাকা দেন মোহর দিয়ে কাবিননামা রেজিস্ট্রি করে দিয়ে লিপিকে সামাজিকভাবে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিপির বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা করার অভিযোগসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন লিপি।
মামলায় মহিপাল বিজয় সিংহ এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্রদল নেতা দুলাল ছাড়াও তাঁর পিতা রুহুল আমিন,মাতা মালেকা বেগম,ভাই মামুন ও মিজানকে আসামি করা হয়।
এ ব্যপারে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আসন্ন জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে যেন পদে না আসতে পারি তার জন্য একেরপর এক চক্রান্ত চলছে। এটিও চক্রান্তের অংশ। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে বলে ছাত্রদলের এ নেতা দাবি করেন।