ফেনীর সোনাগাজীতে পূর্ব বিরোধ কে কেন্দ্র করে ব্যাবসায়ী মফিজুর রহমান (৫০) কে কুপিয়ে জখম, তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর সহ নগদ টাকা ও মালামাল লুন্ঠনের প্রধান আসামী মফিজুল হক (৬৮) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত,  গত (২০জুন) রবিবার আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানর আদেশ দেন।

মামলার এজাহার ও ঘটনার  প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা যায়, আসামীর মালীকীয় দোকান ঘরের একটি রুম বন্ধক নিয়ে ভিকটিম মফিজুর রহমান প্রায় ১২বছর যাবত মুদি-মনোহরী ব্যাবসা করে আসছে,  গত ০১ফেব্রয়ারী-২০০৯ তারিখে দেড় শতক ভূমি সহ উক্ত দোকানঘর বিক্রি করার শর্তে ৫০হাজার এবং ২২ সেপ্টেম্বর-২০০৯ তারিখে ২লক্ষ টাকা গ্রহন করে।

টাকা গ্রহনের পর চতুর মফিজুল হক ভূমি রেজিষ্ট্রি না দিয়ে দীর্ঘ বছর তালবাহানা করে আসছিলো।  এই নিয়ে শালিশী বৈঠক হলেও চতুর মফিজুল হক বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানেনি।

সর্বশেষ গত ০৪জুন-২০২১ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ব্যাবসায়ী মফিজুর রহমান দোকান খুলে ভেতরে ঝাড়ু দেয়ার সময় চতুর মফিজুল হক ধারোলো অস্ত্র নিয়ে দোকানের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে ব্যাবসায়ী মফিজুর রহমান কে হত্যার উদ্যেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে, শোর চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এগিয়ে এলে চতুর মফিজুল হক পালিয়ে যায়, এতে  হামলার শিকার ব্যাবসায়ী মফিজুর রহমান গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই ঘটনায় ব্যাবসায়ী মফিজুর রহমানের ভাই হোসেন আহম্মদ বাহার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে (যাহার নং- ০৫/০৫-০৬-২১ ধারা ৪৪৮. ৩২৪.৩২৬.৩০৭ পেনাল কোড-১৮৬০) আসামী মফিজুল হক আত্মগোপনে চলে যায়।  পরে অব্যহত পুলিশি অভিযানের কারনে পালিয়ে থাকা কঠিন হয়ে উঠায় আদালতে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয় প্রতারক মফিজুল হক।

দিনের আলোতে এমন বর্বোরচিত ঘটনার দৃষ্টান্ত বিচার চেয়েছেন সোনাগাজী বাজারের ব্যাবসায়ীরা সহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা, মামলার বাদী হোসেন আহমদ বাহার বলেন, আমার ভাইয়ের দোকান ভাংচুর, টাকা লুন্ঠন সহ তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখমকারী কুখ্যাত প্রতারক মফিজুল হকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই,  মফিজুল হকের লোকজনের হুমকি ও চাপের মুখে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।