ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামে ২৩ জুন বুধবার রাতে চাচা রিপন মোল্লাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে তার লাগানো ১১টি কলাগাছ কেটে টুকরা করে ভাতিজা তন্ময় (২০)।রিপন মোল্লার বড় ভাই মোঃ ইমরান হোসেন লিকুর সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি ও বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত মনমালিন্য চলে আসছে।রিপন মোল্লা তার পরিবারের লোকজন নিয়ে ৭/৮ বছর ধরে ঢাকায় থাকেন। এই সুযোগে তার আপন বড় ভাই মোঃ ইমরান হোসেন লিকু রিপন মোল্লার পৈত্রিক সম্পত্তি ও বসতবাড়ি নিজের দখলে নিয়ে ভোগ করে।
রিপন মোল্লার শারীরিক মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে প্রায় ১ বছর ধরে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে।বাড়িতে এসে ঘর তুলে কিছু ফলজ গাছ রপন করাসহ গবাদি পশু পালন করে সংসারে জীবিকা নির্বাহ করেন। পৈত্রিক সম্পত্তি ও বসতবাড়ির অংশ বুজিয়ে না দিয়ে তার বড়ভাই মোঃ ইমরান হোসেন লিকু তার স্ত্রী তানিয়া বেগম ও ছেলে তন্ময় মিলে প্রায় রিপন মোল্লার পরিবারের উপর জোর জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে রিপন মোল্লা বলেন। রিপন মোল্লার বড় ভাই ইমরান হোসেন লিকু মোল্লা পুর্বে পুলিশের চাকরি করাকালীন সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করায় তার পুলিশের চাকরি চলে যায় বলে জানা যায়। ঘটনার দিন পৈত্রিক সম্পত্তি নিজ বাড়ি থেকে রিপন মোল্লা বাঁশ কাটলে ভাতিজা তন্ময় রাতে বাড়িতে এসে ঘর থেকে রামদা নিয়ে চাচা রিপন মোল্লাকে মারার জন্য দাওয়া করলে দৌড়াইয়া ঘরে ঢুকে দরজা আটকিয়ে রক্ষা পায়।তবুও ক্ষান্ত হয়নি ভাতিজা তন্ময়। বাড়িতে লাগলো ১১ টি কলাগাছ কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলে।
তন্ময় এলাকায় এক আতংক নাম।মাদক সেবন,চুরি করা সহ নানা অসামাজিক অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে এলাকার মানুষ অবগত। মোঃ ইমরান হোসেন লিকু মোল্লার স্ত্রী, সন্তানকে বাড়িতে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। ভুক্তভোগী রিপন মোল্লা কলা গাছ কাটার ও পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ সঠিকভাবে ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি করেন।