স্কুল- কলেজে বই খাতা কলম দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন গড়তে যে শিক্ষকদের ব্যস্ত সময় পার করার কথা ছিল, সেই দৃশ্য করোনা নামক সংক্রমণ ব্যাধি পাল্টে দিয়েছে সব কিছু। ওলটপালট করে দিয়েছে কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাস।
একবছর পেরিয়ে দু’বছর ডিংগিয়ে তবুও থামেনি এই মহামারী সংক্রান্ত রোগ।এই রোগের শক্তি অব্যাহত থাকার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নন-এমপিও ও বেসরকারি শিক্ষকরা কর্মহীন হয়ে জীবন-জীবিকার সন্ধানে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বিচিত্র পেশা। এই প্রায় দু’বছর কাছাকাছি সময়ে , অনকের মনে জমেছে আশার পরিবর্তে নিরাসা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চোখে মুখে শুধুই মনে জমছে কষ্ট । প্রতিটি পাঠ্যশালা প্রিয় প্রাঙ্গণ তাঁদের খুব করে টানলেও জীবিকার টানে তাঁরা হাঁটছেন অজানা পথে। শিক্ষকতার মহান পেশা ছেড়ে বেঁচে থাকার তাগিদে এমন সব পেশা বেছে নিতে হবে,যা কখনো তাঁরা ভাবেননি।
শিক্ষার্থীদের জীবন গড়ার এসব কারিগরের এখন অনেকের আয়ের জোগানটা নেই বল্লেই চলে। তাদের এখন সম্বল হয়েছে দুঃখ আর কষ্ট। আবার বিদ্যালয়ে শিশু-কিশোরদের কলকাকলির মধ্যে শিক্ষাদানে অভ্যস্ত কোন শিক্ষক জীবন বাঁচাতে খুলে বসেছেন চাল-ডালের মুদি দোকান। এমনকি জীবনসংগ্রামে বাধ্য হয়ে একটু রোজগারের জন্য কেউ কেউ দিনমজুর পর্যন্ত খাটছেন। এভাবে চাপা কষ্ট বুকে নিয়ে কোনমতে বেঁচে আছেন নন-এমপিও এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারও শিক্ষক/শিখ্যিকা।
করোনা পার্দুরভাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে পুরো পৃথিবীজুড়েই এখন স্থবির, ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশেও। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশজুড়ে লকডাউন শুরুর আগেই গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তখন থেকেই মূলত নন-এমপিও এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জীবনে নেমে আসতে শুরু করে অন্ধকার। সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোনোমতে টিকে থাকলেও বেকায়দায় পড়ে যান নন-এমপিও এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। আবার করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্ধ হতে থাকে একের পর এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। এতে এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা পড়েন বিপাকে। অনেকে নিজ সঞ্চয় ভেঙে কিছুদিন প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁদের সে প্রচেষ্টাও বেশি দিন টিকিয়ে রাখা যায়নি।
সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমনিতেই নন-এমপিও শিক্ষকরা সামান্য বেতন পান। এসব শিক্ষকের সংসার চলত টিউশনির আয় থেকে। কিন্তু ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে করোনা সংক্রমণ সে পথও বন্ধ করে দিয়েছে। সব কিছু বন্ধ থাকায় মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে এসব শিক্ষকদের জীবন দুয়ারে। বিশেষ করে যেসব শিক্ষক বিভিন্ন গ্রামে বাস করছেন, তাঁরা মুখোমুখি হন দুর্বিষহ এক পরিস্থিতির। গ্রামগঞ্জে অনেক শিক্ষক চক্ষুলজ্জা ভুলে এমন কিছু পেশায় নিযুক্ত হয়েছেন, জীবনে যা তাঁরা অতীতে কখনো ভাবেইনি । অনেকে আবার কোন কাজও পাননি। বেকারত্ব তাঁদের জীবনকে করে তুলেছে অভিশপ্ত দরজায়।তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,পরিবারের লোকজনের মুখে এক মুঠো খাবার তুলে দিতে আর কোনো উপায় না পেয়ে বাড়ীর পাশে একটি মুদি দোকান দিয়ে বেচেঁ থাকার চেস্টা করছেন,সিরাজগন্জের রায়গন্জ উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের স্বপন কুমার চাকীসহ আরো অনেকে।ত্রহেন অবস্হায় সরকারের কাছে করোনাকালীন আর্থিক সহোযোগিতা কামনা করেন উপজেলার এমন ভুক্তভোগী শিখ্যোকগণ।
… [Trackback]
[…] Information on that Topic: doinikdak.com/news/29295 […]
… [Trackback]
[…] Read More on that Topic: doinikdak.com/news/29295 […]
… [Trackback]
[…] Here you can find 89236 more Info on that Topic: doinikdak.com/news/29295 […]
… [Trackback]
[…] Read More on on that Topic: doinikdak.com/news/29295 […]
lasuna pill – buy lasuna pills for sale cheap generic himcolin
buy besivance eye drops – cheap besifloxacin sildamax tablet
cheap neurontin 800mg – buy generic nurofen for sale azulfidine uk
order probenecid – where to buy probenecid without a prescription buy carbamazepine online cheap
celebrex 200mg oral – order celecoxib generic indomethacin 50mg drug
purchase mebeverine online cheap – order etoricoxib sale pletal 100 mg oral
order voltaren 100mg for sale – buy diclofenac 50mg online oral aspirin 75mg
buy rumalaya pills – buy endep 50mg generic buy endep sale
mestinon for sale – sumatriptan 25mg for sale imuran 50mg generic