ঢাকা, রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ০১:১৪ অপরাহ্ন
সরিষাবাড়ীতে কিশোরী ধর্ষণ মামলার ধর্ষক সহ গ্রেফতার -২
মোস্তাফিজুর রহমান, সরিষাবাড়ী

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কিশোরী ধর্ষণ অভিযোগে ধর্ষক ও সহযোগীতাকারী কে শনিবার(১৯ জুন) রাত ২ টার দিকে ধনবাড়ী উপজেলার কিশামত গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণকারী জুয়েল মিয়া (৩৫) ও সহযোগীতাকারী আমিনুল ইসলাম কে ধনবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগীতায় সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ দুই জন কে গ্রেফতার করেছে। রোববার (২০ জুন) তাদের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ, মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর জবানবন্দিতে জানা যায় যে, সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর নান্দিনা গ্রামের রহমান এর (ছদ্মনাম) মেয়ে (রুমি ছদ্মনাম) (১৭) সরিষাবাড়ী পৌরসভার ধানাটা গ্রামের কোন এক  বাসায় ৪ বছর যাবৎ গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছে। ওই কিশোরী  শনিবার (১৯ জুন) সকাল আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় বাসার কাউকে না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় বাসা মালিকের ছেলে বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং-৮৬৫,তারিখ-১৯-০৬-২০২১ইং। ওই কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির এক পর্যায়ে  রাত্রি ১১ ঘটিকার সময়  মা  তার আত্বীয় স্বজনের মাধ্যমে জানতে পারে যে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার কিশামত এলাকায় চর ভাতকুড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিন এর ছেলে আমিনুল ইসলাম(২১) এর ভাড়াটিয়া বাসায় কিশোরীকে রাখা হয়েছে।এ খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবার ধনবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগীতায় সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ আমিনুল ইসলাম(২১) এর ভাড়াটিয়া বাসা থেকে শনিবার রাত্রি ২ টার দিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরী (১৭) কে  উদ্ধার পূর্বক সহ  ধর্ষক জুয়েল মিয়া ও সহযোগী আমিনুল ইসলাম আটক করে সরিষাবাড়ী থানায় আনা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/৯(১) ৩০ ধারায় সরিষাবাড়ী থানায়  রোববার অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগীর মা। ওই অভিযোগে জুয়েল মিয়া কে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত জুয়েল মিয়া ও ধর্ষণের সহযোগীতাকারী আমিনুল ইসলাম কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ ।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানান, সে বাসার কাউকে না জানিয়ে জামালপুর যাওয়ার জন্য বাসা থেকে সি এন জি যোগে রওনা দেই।পথিমধ্যে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের করগ্রাম ব্রীজের পূর্ব দিক এলাকায় পৌছলে জামালপুর সদর উপজেলার গোপীনাথপুর(মধ্যপাড়া স্কুল মোড়ে) গ্রামের শফিকুল ইসলাম এর ছেলে সি এন জি চালক জুয়েল মিয়া (৩৫) আমাকে ফুসলিয়ে জোরপূর্বকভাবে অপহরণ করে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার কিশামত গ্রামের আমিনুল ইসলাম(২১) এর ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আরিফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক জুয়েল মিয়া ও ধর্ষণের সহযোগীতাকারী আমিনুল ইসলাম কে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল মজিদ জানান,মামলার প্রধান আসামী ও সেহযোগীতাকারীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান ধর্ষণের সহযোগীতাকারী আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x