ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর এলাকায় বিভিন্ন মহল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের এর আদ্যিপত্য ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে।আমাদের অনুসন্ধানী টিমের এক সমীক্ষায় উঠে আসছে এসব কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের এক অদৃশ্য চিত্র।
উপজেলার, শাহাপুর, রুপপুর,আওতাপড়া, মুলাডুলি দাশুড়িয়া, আড়মবাাড়ী, সহ প্রথম শ্রেনীর পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ড বিশেষ করে এম এস কোলোনি তিন তালা, নুর মহল্লা ঈশ্বরদী, বস্তিপাড়া, কলেজ রোড, ৫ নং ওয়ার্ড লোকো এলাকা শেরশাহ রোড , আলহাজ্ব মোড়, অরনখোলা রোড,পিয়ারা খালী, লাইন পার ঈশ্বরদী-লালপুর রোড সহ প্রভৃতি এলাকায় এসব কিশোর গ্যাংয়ের আদ্যিপত্য বিস্তার রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিশোর গ্যাংয়ের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক অদৃশ্য শক্তির বলয়। সুত্রমতে জানা গেছে, এদের কাছে দামী দামী মটর সাইকেল, স্কীনটাস মোবাইল ফোন, বিদেশি টিপ চাকু রয়েছে। এরা সন্ধ্যার পর থেকেই সক্রীয় হয়ে উঠে। নির্জন কোন রাস্তা দিয়ে কোন মহিলা বা পুরুষ চলা দেখলেই এরা নিমিষেই বেপরোয়া হয়ে উঠে চাকু গলায় বা পেটে পোঁচ দিবে বলেই ভয় দেখিয়ে লুটে নেয় কাছে থাকা সর্বস্ব।
ইতিমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বাবু পাড়া এলাকায় কামীনি হাসপাতাল রোডে। আমাদের অনুসন্ধানী টিমের কাছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বস্তিপাড়া এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান কলেজ রোডে লতিফ হাজীর ধানের গোলার গলিতে ও তিনতলা রেলকলোনী রাস্তা সহ প্রভৃতি এলাকায় এই সমস্ত কিশোর গ্যাংয়ের অভায়ারণ্য রয়েছে। দ্রুত এদের কে প্রশাসনিকভাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার্স ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে কিশোর গ্যাংয়ের সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের কাছে কিশোর গ্যাংয়ের বিগত দিনের কোন তালিকা নাই। তবে ৩/৪ মাস আগে কিশোর যারা অপরাধের সাথে জড়িত ছিল শুধু তাদের নাম আমারা উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছি। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন নতুন করে কিশোর গ্যাংয়ের তালিকার কোন নির্দেশনা আমাদের কাছে আসেনি।
পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে সচেতন মহল দাবী করেন।ইতিমধ্যেই র্যাব মহাপরিচালক কক্তৃক ঘোষনা দেয়া সারাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা তৈরি করে দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ কে সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।