পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক কিশোরকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা মামলায় তাঁর দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ভাঙ্গাজোলা গ্রামের কিশোর শাকিল হোসেন (১৬) কে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করা হয়। সে ওই গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে। আহত অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো-একই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে ইমন হোসেন (১৭) এবং নজরুল ইসলামের ছেলে সম্রাট হোসেন (১৬)। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে ভাঙ্গাজোলা গ্রাম থেকে তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার শাকিলের ঘর থেকে তাঁর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। পরে জানতে পারেন বন্ধু সম্রাট তাঁর মোবাইলটি চুরি করেছে। পরদিন শুক্রবার রাতে চুরি করা মোবাইলটি শাকিলকে ফেরত দেন সম্রাট। এঘটনা কাউকে না জানাতে নিষেধও করেন সে।
কিন্তু ঘটনাটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে চরম ক্ষুব্ধ হন সম্রাট। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শাকিলকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ইমন ও নাইমের সহযোগিতায় তাঁকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এঘটনায় শাকিলের পিতা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজন আসামিকে গ্রেফতার করে।অষ্টমনিষা ইউপি চেয়ারম্যন আলহাজ্ব মোঃ আয়নুল হক বলেন, ঘটনা কি নিয়ে ঘটেছে তা জানিনা। তবে ওই ছেলেটার সামান্য গলা কেটেছে বলে আমি জেনেছি ।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বন্ধুর মোবাইল ফোন চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।