ঢাকা, রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
আমাগো উপজেলার হগল রাস্তাই এখন ভাঙ্গা গর্ত
নুরুল ইসলাম খান আটঘরিয়া, পাবনা

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় কথা হয় ব্যাটারী চালিত ভ্যানচালক রহিম এর সাথে তিনি বলেন, আমাগো উপজেলার হগল রাস্তাই এখন ভাঙ্গা গর্ত, যাত্রীরা আমাগো গাড়ীতে উঠতে চায় না, হেঁটে হেঁটে বাড়ী যেতে চায়, এই ভাঙ্গা গর্ত রাস্তায় ভ্যান চালাতে গিয়ে দুই-এক দিন পর পরই ভ্যানগাড়ী নড়বড়ে হয়ে যায়। অনেক সময় নাটবল্টু খুলে পড়ে যায়। ফলে সারাদিন ভাঙ্গা রাস্তায় শক্তি ক্ষয় করে যে রোজগার করি, কোন কোন দিন তার প্রায় পুরা টাকাই ভ্যান মেরামত করতেই শেষ হয়ে যায়।

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা এখন কৃষিপণ্য হিসাবে খ্যাতি ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এই উপজেলা বর্তমানে অবহেলিত জনপদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাট সংষ্কার ও মেরামত না করায় উপজেলার অধিকাংশ রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো এখন ভাঙ্গা গর্তে। সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পথচারী ও গাড়ীর যাত্রীদের দুর্ভোগ এখন চরমে। এছাড়াও, ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছরের পর বছর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সড়কের অধিকাংশ রাস্তাঘাট এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংষ্কার ও মেরামত না করায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। স্থানীয়দের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করলেও রাস্তাগুলো সংষ্কারে তেমন কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের দেবোত্তর হতে একদন্ত সড়ক, একদন্ত হয়ে জোরগাছ ব্রীজ পর্যন্ত, পাঞ্জাবনগর হতে হিদাসকোল মসলেম মোড় পর্যন্ত, দেবোত্তর হতে খিদিরপুর বাজার পর্যন্ত, পারখিদিপুর বাজার হতে দরবেশপুর বাজার, একই অবস্থা চাঁদভা বেতিপাড়া মোড় হতে লক্ষণপুর-ভরতপুর মাদরাসা পর্যস্ত, পুস্তিগাছা-গণিরঢাল সড়কের বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

এসকল সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কয়েক বছর ধরে এ সড়কে চলাচলে দূর্ভোগে পরেছে সাধারণ মানুষ। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা-পানি একাকার হয়ে রয়েছে। ভাঙ্গা গর্তে পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলের সময় পানি ছিটকে উঠছে। শুকনো মৌসুমে তেমন কোন সমস্যা না হলেও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।
এসব সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য বাস, ট্রাক, মাইক্রো, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান ও রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এসব সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে চলতে গিয়ে পথচারীদের যেমন সময়ের অপচয় হচ্ছে ঠিক তেমনই রয়েছে জীবনের ঝুঁকি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমানে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচলেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকার বাসিন্দা কামরুজআজামান, শফিউল্লাহ, নজরুল ইসলাম, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকেই বলেন, রাস্তাগুলো অতি দ্রæত মেরামত ও সংষ্কার করা প্রয়োজন।

তারা আরও বলেন, এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত। আসন্ন দূর্গা পূজায় এসব রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করবে। কিন্তু রাস্তার যে বেহাল অবস্থা তাতে দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

x