ঢাকার সাভারে কিশোরীর হাত পা বেঁধে ধর্ষণ চেষ্টা শীর্ষক প্রতিবেদনের পর বিষয়টি সর্বমহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ অবশেষে মামলাটি (মামলা নং ১) রেকর্ড করেছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মইনুল ইসলাম বলেন, “আমরা সোমবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করেছি, পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি”।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ জশিম (২২) মো: আফজালের ছেলে, তিনি সাভারের মজিদপুর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বিবৃতি অনুসারে অভিযুক্ত একই ভাড়া বাসার পাশের কক্ষে থাকেন এবং ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে তার হাত, পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন ও নির্যাতনের পরে একাধিকবার ধর্ষণ চেষ্টা করে আসছিলেন এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
২৫ মে রাতে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারের মজিদপুর এলাকায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মায়ের অনুপস্থিতিতে যৌন নির্যাতন করা হয়। পরে কর্মস্থল থেকে ফিরে তার মা দেখতে পান যে তাঁর মেয়েকে হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় খাটের নিচে পড়ে থাকতে। কিশোরীর সঙ্গে একাধিকবার বিভিন্নভাবে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার এক পর্যায়ে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে সোমবার, ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করেছিলেন যে তারা ঘটনার বিষয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি, এবং তারপরে পুরো ঘটনাটি সামনে এনে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওসি আরও জানান“মামলাটি রেকর্ড করার পরে পুলিশ সোমবার মধ্যরাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এবং অভিযুক্তকে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার একটি আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, ২৫ মে ঘটনার পরদিন সাভার মডেল থানায় দায়ের কৃত অভিযোগপত্রে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সহ বাড়ির মালিক রবিন(২৭) ও ভাড়াটিয়া জাহানারা বেগম (৩৫) জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে অভিযুক্ত করা হয়। এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে বাড়ির মালিক রবিন এ ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।