ঢাকা, শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
পাবনার ঈশ্বরদীতে তীব্র গরমে কদর বেড়েছে তাল শাঁসের
Reporter Name

হুসাইন মোহাম্মাদ রাফি, ঈশ্বরদী,পাবনা: গ্রীষ্মের দুপুরে, প্রচন্ড গরমে শরীর যখন ক্লান্ত, তখন খুব দ্রুত প্রশান্তি এনে দিতে পারে তালের শাঁস। এর মোহনীয় ঘ্রাণ এবং সুমিষ্ট স্বাদ আমাদের অনেকেরই প্রিয়। সাধারণত গ্রীষ্মকালে দেশের বাজার গুলোতে কচি তাল দেখতে পাওয়া যায়। আর এলাকা ভেদে একটি তালের দাম ৫ থেকে ১৫ টাকা।

পাবনা শহর ও গ্রাম – গঞ্জের বাজার গুলোতে দেখা মিলছে তাল শাঁস বেঁচাকেনার দৃশ্য। এছাড়াও বিভিন্ন সড়কের পাশে বড় গাছের নিচে দেখা যায় এদৃশ্য।

শনিবার সকালে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় এলাকায় দেখা যায় এক তাল শাঁস বিক্রেতাকে। তার নাম ইউনুস আলী। তিনি উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের লোকক্ষী কোলা গ্রামের বাসিন্দা। বছরের অন্যান্য সময় ইটভাটায় কাজ করলেও এখন তিনি আর তার বন্ধু মিলে তালের শাঁস বিক্রি করেছেন।

তিনি বলেন, একটি তাল থেকে দু’টি বা তিনটি শাঁস হয়। প্রতি শাঁস এখন ৫ টাকা দরে একটি তাল ১৫ টাকায় বিক্রি করছি। যা গত বছরে চেয়ে দুই – তিন টাকা বেশি।

তিনি আরো বলেন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে এসব কচি তাল কিনে আনতে হয়। তালের সংকট থাকায় এর দাম বেড়েছে। প্রতিদিন প্রায় পনের’শ টাকার তাল শাঁস বিক্রি করি। এতে পাঁচ-সাতশ’ টাকা লাভ থাকে।

ঈশ্বরদী, দাশুড়িয়া, মুলাডুলি বাজারের বিভিন্ন মোড়ে তাল শাঁস বিক্রি করছেন সাকের আলী। তিনি মূলত আঁখের গুড় বিক্রেতা। তিনি বলেন, ৫ থেকে ১০ টা পিচ তাল বিক্রি করছি। গ্রাম থেকে কিনে এনে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫০০ পিচ তাল বিক্রি হয়।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের মুলাডুলি রেলগেট বাজারে দেখা যায় এক তাল শাঁস বিক্রেতার। তার নাম স্বপন শেখ। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক হলেও বর্তমানে তাল বিক্রেতা। এবিষয়ে তিনি বলেন, তিন শাঁসের এক তাল ১২ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করছি। তীব্র গরম থাকায় তালের চাহিদা বেশ ভাল। তিনি আরো বলেন, তিন থেকে চারশ টাকা দরে শাঁসের জন্য তাল গাছ কিনি। প্রতি গাছে ৭ থেকে ৮০০ পিচ তাল পাওয়া যায়।

তাল শাঁস কিনতে আসা ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, গত বছরের থেকে এবার তাল শাঁসের দাম একটু বেশি। গত বছর যে তালের শাঁস ৩ থেকে ৪ টাকায় কিনেছি। তবে এবার সেই তাল শাঁস ৫ থেকে ৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তবুও মৌসুমি ও সুস্বাদু হওয়ায় এর প্রতি মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জীবন। একটু স্বস্তি পেতে তাল শাঁস কিনতে এসেছি। তিনি আরো বলেন, অনেকেই শাঁস কিনছেন। বেশ চাহিদা তালের।

উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের মৃধা পাড়া গ্রামের মাসুদ হোসেন বলেন, বাড়িতে আটটি তাল গাছ আছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও ছয়টি গাছে তাল ধরেছে। কচি তাল হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি তাল ৭ টাকা দরে বিক্রি করেছি।

x