ঢাকা, শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
পাবনায় পৃথক ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
Reporter Name

হুসাইন মোহাম্মাদ রাফি-ঈশ্বরদী,পাবনা: ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হলেন ভ্যানচালক, ঝগড়াকালে ব্যবসায়ী মারা গেলেন স্ট্রোকে আর আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। এ তিনটি ঘটনা ঘটেছে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানায় বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিবাগত রাতে।

শুক্রবার (২১ মে) সকালে এ তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ও মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-আমিনপুর থানার মাস্টিয়া গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে মন্টু সেখ (৩২), নাটিয়াবাড়ীর মৃত চিত্তরঞ্জন সাহার ছেলে ব্যবসায়ী স্বদেশ সাহা (৬২) ও শিমুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের রানা (২৫)।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী দুপুরে এ তিনটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জাতসাখিনী ইউনিয়নের মাস্টিয়া গ্রামের ইছাবিলের পাশ থেকে মন্টু শেখ (৩২) নামের এক যুবকের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মন্টু পেশায় ছিলেন ভ্যানচালক। তিনি বাড়ি থেকে বিকেলে ইঞ্জিনচালিত ভ্যান গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পর রাতে খুন হন।

ওসি জানান, অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাকে গলাকেটে রাস্তার পাশে ফেলে রখে যান। ভ্যানটি এখনও পাওয়া যায়নি। ভ্যান গাড়িটি ছিনতাইয়ের জন্য তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের ধারণা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এদিকে নাটিয়াবাড়ী ঘাটের নতুন বাজারে স্বদেশ সাহা (৬২) নামের একজন দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন। এ দোকানটিতে আগে ব্যবসা করতেন আব্দুল হালিম নামের একজন। কিন্তু ঘরমালিক আব্দুল হালিমের ওপর বিভিন্ন কারণে নাখোশ থাকায় দোকান ঘরটি কিছুদিন আগে স্বদেশ সাহার কাছে ভাড়া দেন। সেই আব্দুল হালিম বৃহস্পতিবার রাতে স্বদেশ সাহার দোকান থেকে সিগারেট কেনেন। কিছুক্ষণ পর গিয়ে ওই সিগারেট ফেরত দিতে চান। কিন্তু বিক্রিত সিগারেট স্বদেশ সাহা ফেরত নিতে চাননি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্বদেশ সাহা স্ট্রোক করে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

স্বদেশ সাহা এর আগেও স্ট্রোক করেছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

ওসি রওশন আলী জানান, ব্যবসয়ী পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে শিমুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের রানা নামের এক যুবক বৃহস্পতিবার রাতে স্বাভাবিকভাবে পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার খেয়ে ছাপড়া ঘরে সস্ত্রীক ছিলেন। রাতের কোনো এক সময় তিনি ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বের হয়ে পাশের একটি গাছে গলায় ফাঁস নেন। শুক্রবার ভোরে তার স্বজনরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান তিনটি হত্যা ও অপমৃত্যুর ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

x