ঢাকা, রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
ছাগলনাইয়া’য় আমগাছের বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে বৃদ্ধা নিহত, আহত ৫
Reporter Name

পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরীঃ- আমগাছের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে ফিরোজা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা খুন হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় ফেনীর ছাগলনাইয়ার রাঁধানগর ইউনিয়নে নিচিন্তা গ্রামের শামসুল হক মিস্ত্রির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।

নিহত ফিরোজা খাতুন একই এলাকার আব্দুর রউফের স্ত্রী।

আহতরা হয়েছেন নিহত ফিরোজা খাতুনের স্বামী আব্দুর রউফ (৭৫), ছেলে একরামুল হক  (৪০) ফজলুল হক (৩০), পুত্রবধূ শামীমা আক্তার (২৮) ও শাকিলা আক্তার (২৩)।

নিহতের ছেলে ফজলুল হক জানান, বাড়ির একটা আমগাছের মালিকানা নিয়ে চাচাতো ভাই মফিজের পরিবারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার বাবা আব্দুর রউফ ঘরের মধ্যে বসে গাছ নিয়ে নিজ পরিবারের সদস্যদের বকাঝকা করেন। এমন সময় পাশের ঘর থেকে মফিজ এবং তার স্ত্রী জবাব দিলেই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

ফজলুল হক আরও বলেন, আমার মা ছয় রোজা রাখছিলেন। মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় রোজা। ইফতারের পর পর দুই পরিবারের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। আমি চাচাতো ভাইয়ের পরিবারকে বুঝিয়ে শান্ত করে ঘরে ঢুকিয়ে দিই।

আমরা ভেবেছিলাম ঝামেলা তখনই মিটে গেছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মফিজের ভাগিনা ছাগলনাইয়ার কলেজ রোডের সন্ত্রাসী শাকিলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী আরমান, ইয়াছিনসহ দুই মোটরসাইকেল ও এক সিএনজি অটোরিকশা করে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে গালাগালি করতে থাকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমার মা, বাবার মাথা ফেটে যায়। হাত ভেঙে যায়। অন্যদেরও রক্তাক্ত করে তারা। হামলা চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় সূত্র জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে তারা ছাগলনাইয়া ও ফেনী হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ফিরোজা বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি রাত ৩টার দিকে মারা যান। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে স্বজনরা জানান।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক রুমি জানান, বহিরাগত সন্ত্রাসীর হামলায় খুনের ঘটনায় পুরো গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ রেহাই পাবেন না। মামলার প্রস্তুতি চলছে। জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। জড়িতরা সবাই পলাতক রয়েছে।

x