শেখ শামীম, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি: ঢাকা দোহার উপজেলায় জয়পাড়া বাজারের করোনার প্রভাব যেনো বিন্দুমাত্র নেই ঈদের বাজারে।সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি ভাব থাকলেও কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না নিরাপদ শারীরিক দূরুত্ব,নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই।পুরোদমে জমেছে ঈদের কেনাকাটা। বাজারে যেমন হাঁটা মুশকিল তেমনি দোকানে দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।যেনো কারোর মনে নেই করোনার ভয়।
মানা হচ্ছে না কোনো সরকারি নির্দেশনা।তবে বাজারে ভিড় আর জমজমাট কেনাকাটা হলেও অনেক ক্রেতারা খুঁজছেন কমদামে ভালো পোশাক।
করোনার বিরুপ প্রভাব আর লকডাউনে টাকার ঘাটতি মেটাতেই কম দামের পোশাক কিনে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষদের।
মঙ্গলবার (১১ মে) জয়পাড়া কাজী মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন কাপড়ের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের জটলা।
বেশিভাগ ক্রেতারা খুঁজছেন কমদামে ভালো পোশাক।তাই এবার ভারতীয় সিরিয়াল কিংবা মুভির নামে নামকরা পোশাকগুলোর উপস্থিতি নেই বাজারে।
ভুতের গলির লন্ডন প্লাজা এক ব্যাবসায়ী জানান,মাক্স ছাড়া আসা ক্রেতাদের দোকানে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছি না।অনেক ক্রেতা পরিচিত ও রেগুলার কাস্টমার হওয়ায় চক্ষু লজ্জায় কিছু বলতে পারি না।তারা নিজ থেকে সচেতন না হলে আমরা আর কত ম্যাক্স পরার কথা বলব।
নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে মার্কেটে আসা সালেহা জানান,করোনার কারণে স্বামীর রোজগার আর আগের মত নেই তাই সন্তানদের নিয়ে কম দামের কাপড় খুঁজছেন তিনি।
মৌড়া থেকে আসা ক্রেতা আলামগীর তার ছোট ছেলের জন্য নিয়েছেন শার্ট প্যান্ট। তবে করোনার জন্য তেমন কিছু কিনে দিতে পারিনি।কম দামে শার্ট প্যান্ট কিনে দিলেও সেন্ডেল জুতা এখনো কিনতে পারিনি।
তবে ফুটপাতে দোকানগুলোতে নিম্নবিত্তদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।কাপড় মার্কেটে শিশু ও মেয়ের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন এক ব্যাবসায়ী। ফুটপাতের দোকান ব্যাবসায়ী বলেন,আমাদের দোকানের ভাড়া তেমন দিতে হয় না তাই আমরা অনেক কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারি।এ বছর প্রচুর ক্রেতা আসছেন এখানে।ভিড় দেখে মনে হচ্ছে এ বছর ফুটপাতে রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হবে।