ঢাকা, শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
কষ্টিপাথর ও পেশাগত বিরোধে ইয়াছিনকে খুন করা হয়
Reporter Name

পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরীঃ-ফেনীর পরশুরামের মির্জানগরের নির্মাণ শ্রমিক মোঃ ইয়াছিন খুব বেশী কাজ পেতেন সেই প্রতিহিসংসার জের ধরেই পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয় তাঁকে । এছাড়াও কষ্টিপাথরের বেঁচা-বিক্রির একটি বিষয়ও রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন তদন্ত সংলিষ্টরা।

সোমবার (১০ মে) সকালে ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন নবী বিপিএম।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় নির্মাণ শ্রমিক সেলিম গত ১৩ মে সন্ধায় শাহনাজ নামের এক মহিলাকে দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক ইয়াছিনকে মোবাইল ফোনে ফেনীর বনানী পাড়ার মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যাক্তির বাসায় নিয়ে যান। সেখানেই  ৫/৬ জন তাঁকে শ্বাষরোধ করে হত্যা করে একটি বস্তায় ভরে সেলাই করে রাত ১০টার দিকে জামালের সিএনজিতে করে ফেনী থেকে পরশুরামের সিমান্তবর্তী রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের নিয়ে যান। সেখানে তাকে একটি গর্তে রেখে মাটিচাপা দিয়ে দেন।

নিহত ইয়াছিন পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধ্যম রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মো হাসানের ছেলে।

গত ১৩ এপ্রিল নিখোঁজ হন সোঃ এয়াছিন পরদিন ১৪ এপ্রিল তাঁর ভাই হারুন পরশুরাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। কিন্তু পুলিশের কোন তৎপরতা না থাকায় ইয়াছিনের ভাই পূনরায় ফেনীর ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দেন। নিখোঁজের ২৭দিন পর গত রবিবার (৯মে) দুপুরে তাঁর বস্তাবন্ধি লাশ উদ্বার করা হয়।

স্থানীয় গ্রামবাসী জানান শনিবার দুপুরের পর থেকে গ্রাম গুঞ্জন রটে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ রয়েছে। কিন্তু এলাকার লোকজন বিভিন্ন দিকে খুঁজতে থাকে পরে লোকজন ধারণা করছেন নিহত ইয়াছিনের লাশ হতে পানে। বিষয়টি স্থানীয়রা জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে অবহিত করেন।

এই ব্যাপারে পরশুরাম থানায় নিহতের ভাই মোঃ হারুন বাদী হয়ে সেলিম, এমাম হোসেন, বাড়ীর মালিক মোশারফ হোসেন, কুসুম, শাহনাজ, সিএনজি চালক জামাল ৬জনকে আসামী করে ৯ মে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এখন পর্যন্ত পুলিশ সেলিম ও সিএনজি চালক জামালকে আটক করেছেন।

পরশুরাম থানার পুলিশ জানান হত্যা ঘটনায় মধ্যম রাঙ্গামাটিয়া আবুল কালাম এর ছেলে মোঃ সেলিম (৩৩) আটক পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ তাহার দেয়া তথ্য মতে ইয়াছিনের মৃত দেহটি বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত এলাকার মান্নানের বাগানের  বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার নং-২১৫৭-১২-এস এর ৫০ গজ অভ্যন্তরে  ইয়াছিনের মৃত দেহটি উদ্ধার করা হয়।

পরশুরাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাক জানান আটককৃত আসামী দুজনকে সোমবার আদালতে তুলা হবে।

3 responses to “কষ্টিপাথর ও পেশাগত বিরোধে ইয়াছিনকে খুন করা হয়”

  1. … [Trackback]

    […] Info on that Topic: doinikdak.com/news/14581 […]

  2. this page says:

    … [Trackback]

    […] Read More to that Topic: doinikdak.com/news/14581 […]

  3. … [Trackback]

    […] Find More to that Topic: doinikdak.com/news/14581 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x