এম,এ রাজ্জাক স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁয় পাকা ধানের মনমাতানো গন্ধ ভাসছে ক্ষেতের চারপাশ। আর মৃদু বাতাসে পাকা ধানের শীষ গুলো দুলতে দেখে মনে হচ্ছে যেন সাগরের পানি সোনালী রং হয়ে মাঠে মাঠে উড়ছে। ক্ষেতের পাকা ধান দেখে কৃষকের খাটুনি জুড়ালো,মাঝে মাঝে দেখা যায় মুখে হাসির চিহৃ।
এর মাঝেই দেখা গেলো বোরো ধান কাটায় কাস্তে হাতে ব্যস্ত কৃষক। বৃহস্পতিবার (২১এপ্লিল) নওগাঁ জেলার অধিকাংশ উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, পাকা ধান গোলায় তুলতে ধান কাটার ধুম পড়েছে মাঠে মাঠে। কৃষক একত্রিত হয়ে ধান কাটায় অংশ নিয়েছে মাঠে। কৃষক ধানের আঁটি বেঁধে কাঁদে তুলে দিচ্ছেন। আর সেই আঁটি কাঁদে নিয়ে কাঙ্খিত স্থানে রাখার জন্য ছুটছেন কৃষকরা। কাজের ফাঁকে অন্যের সঙ্গে কথা বলার মতো সময় নেই কারো। মাঠজুড়ে এখন বোরো ধান কাটার উৎসব চলছে।
নওগাঁর পোঁরশা সদর থানার বাসিন্দা কৃষক রমজান জানান, বোরো ধান কাটার জন্য কাস্তে হাতে মাঠে এসেছি। ধান ভালো হয়েছে কিন্তু বিক্রি করতে গেলে যখন কম মূল্যে পাই তখন মনে হয় কৃষি কাজ ছেড়ে দেই। আমাদের দিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। যাতে সব কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পায়। মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের দাওইল, জিওল, সোনাপুর গ্রামের অাতাউর, জব্বার ও খাদেম জানান গতবছরের তুলনায় এবছরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে। এবার বিঘা প্রতি ২২/২৫ মণ ধান পাবো বলে অাশা করছেন। এছাড়াও নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের কুমরুইল গ্রামের কৃষক রাকিবুল হোসেন জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটেন তারা । পাশাপাশি মাড়াই শেষে বাতাসে ধান উড়িয়ে তোলা হবে গোলায়। তিনি বলেন, আশা করছি এবার ধানের ন্যায্যমূল্য পাবো। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, কৃষি বিভাগের তদারকি, কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও দিকনির্দেশনার কারণে কৃষকরা শুরু থেকেই ইরি-বোরো ধানের সঠিক পরিচর্চা করেছেন। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এবার ধান খুব ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন ।