ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে যুবকের হাতাহাতির /ধস্তাধস্তির ঘটনায় এসআই ক্লোজড
Reporter Name
ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে যুবকের হাতাহাতির ভিডিও ভাইরাল: সেই ঘটনায় এসআই ক্লোজড

 পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরীঃ- ফেনীতে পুলিশ সদস্যদের সাথে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) যশমন্ত মজুমদারকে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে  নিশ্চিত করেছেন। মাইনুল ইসলাম জানান, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়ানো যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার সাথে পুলিশ সদস্যরা আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতেন। পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী স্বাক্ষরিত ওই আদেশে এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে ফেনী মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ফেনীর পুলিশ সুপার নুরুনবী জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার (১৯ এপ্রিল) ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ফেনীর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রিকশায় বসে থাকা এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন একাধিক পুলিশ সদস্য। চলমান লকডাউনে মাস্ক পরা ও বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচল করতে বাধা প্রদান করছিলেন তারা। এ সময় ওই যাত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং তাকে রিকশা থেকে নামতে বলেন পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে রিকশায় থাকা ওই ব্যক্তি উচ্চস্বরে দায়িত্বরত পুলিশদের উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘এই দেশে পুলিশের অনেক ক্ষমতা, না!

এ সময় এক পুলিশ সদস্য তাকে জোর করে রিকশা থেকে নামাতে চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির শুরু হয়। রিকশা থেকে নামিয়ে ফেলা ওই ব্যক্তি বলতে থাকেন, তুই অন্য রিকশা ছারছিস, আমারটা ধরলি ক্যান? একাধারে তিনি পুলিশদের গালাগালি করতে থাকেন।

ওই ব্যক্তি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে পুলিশ সদস্যরা তাকে আঘাত করে। এ সময় ওই ব্যক্তিও পুলিশদের পাল্টা আঘাত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এক পর্যায়ে একাধিক পুলিশ সদস্য তাকে যাপটে ধরে এবং হ্যান্ডকাফ পরানোর চেষ্টা করেন।

ঘটনাস্থলে উচ্ছুক জনতার ভিড় জমতে শুরু করলে ওই ব্যক্তি সবার উদ্দেশে বলেন, মসজিদে কোরআন পড়তে যাচ্ছিলাম, বলছি আমাকে ছেড়ে দেন। এ সময় ওই হ্যান্ডকাফ পরতে অস্বীকৃতি জানায় এবং গালাগালিসহ এলোপাথাড়ি হাত-পা ছুড়তে থাকে। একই সময় তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে চিৎকার করে ভিডিও করতে বলে।

পরে একপর্যায়ে ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য তাকে হ্যান্ডকাফ পরানোর জন্য জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে চাপ প্রয়োগ করে। তারা চিৎকার করে বলতে থাকেন, হ্যান্ডকাফ লাগা, ধর। এ সময় উপস্থিত জনতার তোপের মুখে তারা আবার ওই ব্যক্তিকে ধরে উঠান এবং হ্যান্ডকাফ পরান। এ সময় ওই ব্যক্তি এটা আওয়ামী লীগের দেশ বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x