ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন
পাংশায় মাদ্রাসার কক্ষ থেকে শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মোঃ আমিরুল হক (রাজবাড়ী) থেকে ঃ

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বড়চৌবাড়ীয়া হামিউসুন্নাহ কওমী মাদ্রাসার শ্রেণী কক্ষ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মেহেরাব খান {১২} নামের এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। নিহত মেহেরাব একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী তাব্বেল খান এর ছেলে। সে বড় চৌবারিয়া (চরপাড়া) সামিউসসুন্না কওমি মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের ছাত্র ছিলো।
সংবাদ পেয়েই রাত্রেই সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা ও পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, এস,আই মোঃ হুমায়ুন রেজাসহ একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন‍্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। এ বিষয়ে মৃত মেহেরান এর দাদা আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, মাগরিবের নামাজ আদায় করে প্রতিদিনের ন‍্যায় প্রায় এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে রাতের খাবার নিয়ে মাদ্রাসায় আসি। এসে দেখি আমার দাদু ক্লাস রুমের মধ‍্যে মাথার পাগরী পেঁচানো অবস্থায় ঢাপের সাথে ঝুলছে। এরপর অতিদ্রুত দাদু ভাইকে জাপটে ধরে উঁচু করে রাখি এবং লকজনদের ডাকি। পরে দাদুকে ডাপ থেকে নিচে নামাই। এসময় মাদ্রাসার শিক্ষকগণ মাগরিবের নামাজ শেষ করে হাদিসের আলোচনায় ব‍্যাস্ত ছিলেন। অত্র মাদ্রাসার মাহতামীম মুফতি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি কেজি, মক্তব ও হেফজ শাখা মিলে মোট ৪২ জন ও ৫ জন শিক্ষক ছিলো।
স্থাণীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মেহেরাব খানকে গত ৯ দিন আগে নগর ব্লাথানের একটি মাদ্রাসা থেকে এনে এই সামিউসুন্নাহ কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি করি হয়। এটি হত‍্যা না আত্মহত‍্যা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহত শিশুর পরিবারে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
এব‍্যাপারে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, আমর লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন‍্য মর্গে প্রেরন করেছি। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত‍্যূর আসল রহস‍্য জানা যাবে।

x