ঢাকা, রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
সিলেটে হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি
সিলেট ব্যুরো

সিলেটে বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ গ্রামের আজমল হোসেন হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস ও ৩৯৭ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালত মো. মিজানুর  রহমান ভূঁইয়া এ রায় দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রাসেল খান জানান, আমরা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি, উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে বলে সেই প্রত্যাশা করি। রোববার এ রায় ঘোষণা করা হয়। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত রুহেল আহমদ ওরফে কালা মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কুতুবনগর গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে ও অপুদাস ওরফে জাকারিয়া মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা গুলসা এলাকার বিজয় কান্তের ছেলে।

মামলার রায়ে ওই দুই আসামিকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড, ৩৯৭ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণা করার সময় দুই আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় চার আসামি ছিলেন অপর দুই আসামি সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার শান্তিনগর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মো. হোসাইন আহমদ ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল এলাকার নলুয়ারপাড় গ্রামের আলকাছ উদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন। এ দুই আসামির বয়স কম হওয়ায় শিশু আদলতে মামলা বিচারাধীন।

আদালত  সূত্র জানায় , আজমল হোসেন ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি উপশহর বাসা থেকে নিজ বাড়ি বিয়ানীবাজারের জলঢুপ গ্রামে যান। এলাকায় তিনি একটি মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন। মাদ্রাসার কাজের জন্য তিনি ৫০ হাজার টাকা সঙ্গে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।

৩ ফেব্রুয়ারি সকালে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তার বাড়িতে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। তারা বিষয়টি স্বজনদের জানান। পরে স্বজনরা তাকে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসারত অবস্থায় আজমল হোসেন মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুর পরে মামলাটি তদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চার আসামিকে পুলিশ শনাক্ত করে ও ১৯ সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে রোববার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালত মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রাসেল খান ও অ্যাডভোকেট নুরুল আমীন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দীন আহমদ। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট আলী হায়দার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x