ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
আমতলীতে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ জনজীবন, নিস্তার চায় উপজেলা বাসী
আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলীতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাত দিন মশার উৎপাত চলছে সমান তালে। মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে কয়েলওঅ্যারোসলসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করেও মশার হাত থেকে যেন নিস্তার মিলছে না।এতে যেমন মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘিœত হচ্ছে, তেমনি মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

মশার যন্ত্রণায় দিনের বেলায়ও স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করা যাচ্ছে না। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আরো কয়েকগুন উৎপাত বেড়ে যায়। তখন মশারির মধ্যে কিংবা মশা তাড়ানো উপকরণ ছাড়া বসে থাকা দুরুহ হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। মশার উৎপাতে তারা ঠিকভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না।
মশার উপদ্রবে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপজেলার ব্যবসায়ীরাও রয়েছে বিপাকে।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

আমতলী উপজেলাপরিষদের চার পাশে ডোবা নালাগুলো কঁচুরি পানায় ভরপুর ও ময়লার ভাগারে পরিনত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চোখের সামনে ময়লার ভাগারে পরিনত হলেও কেউ পরিস্কার পরিছন্ন করতে এগিয়ে আসছে না। ময়লার ভাগার থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।এতে মারাত্মক পরিবেশ দুষণ ও মশার বংশ বিস্তারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। পরিবেশ দুষণ ও মশার উৎপাত বৃদ্ধি থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রæত ডোবা-নাল থেকে কচুরীপানা ও ময়লার ভাগার পরিস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।
আমতলী উপজেলা ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংস খাল ডোবা নালায় কচুরীপানা ময়লা আবর্জনা থাকায় প্িরতনিয়ত মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।

উপজেলার চাওড়া, হলদিয়া, কুকুয়া,সদর ইউনিয়নওপৌরসভার উপরদিয়ে প্রবাহিত ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০০ মিটার প্রস্থ চাওড়া- সুবন্দি বদ্ধ নদী কচুরীপানায় বছরের পর ভরপুর থাকায় পানি পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দুষিত হওয়ায়ও প্রতিদিন হাজার হাজার মশার বংশ বৃদ্ধির কারখানা বলে পরিচিতএ নদীর ৩০ কিলোমিটারে প্রতিদিন মশার বংশ বৃদ্ধি পায় বলে দু- পাড়ের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাঁধি ছড়িয়ে পড়ার আতংকে রয়েছে।
উপজেলার অধিকাংশ স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, যদি মশার এসব আবাসস্থল নিয়মিত পরিষ্কার রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের শুরু করতে হবে মশা নিধন অভিযান ,তবেই মশার উৎপাত থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পেতেন উপজেলাবাসী। আবার মশা নিধন উপজেলা প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিলেই চলবে না এর সঙ্গে সকল এলাকাবাসীকে সচেতনতামূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।

নিজের আবাসস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে বসবাসকারীদের সহযোগিতা করতে হবে। বাড়ির ময়লা-আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দ্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত। এমনটি করা হলে মশার উৎপাত অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

হলদিয়ার কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ আহসান হাবিব রুপম বলেন, মশার কারণে রাতের বেলায় চেয়ার-টেবিলে বসে লেখাপড়া করা কষ্টকর। তাই নিরুপায় হয়ে তাকে মশারি টাঙিয়ে বিছানায় বসে লেখাপড়া করতে হচ্ছে।
চাওড়ার স্কুল শিক্ষার্থী মাহবুব হাসান বলেন,মশার কামড়ে পড়াশুনা করতে পারছিনা।

উপজেলা সদরের বাজার এলাকার বাসিন্দা মোঃ সাহালোম খান জানায়, মশার অত্যাচারে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তামো.কাওসার হোসেন মুঠোফোনে বলেন শীঘ্রই মশা নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x