ঢাকা, বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
প্রশাসনে এক লাখ ৪০ হাজার পদ সৃষ্টি, ৫৫ কর্মকর্তার শাস্তি
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত এই ৩২ মাসে প্রশাসনে এক লাখ ৪০ হাজার ৮৬০টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। অপরদিকে, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রশাসনের ৫৫ কর্মকর্তাকে লঘু ও গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৯টি মামলা চলমান রয়েছে।

সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ে ব্যাপকভাবে পদ সৃজন করেছি। পদ সৃজনের কাজটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় করে থাকে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা প্রশাসনে এক লাখ ৪০ হাজার ৮৬০টি পদ সৃজন করেছি। নিয়োগের জন্য ৭ হাজার ৯৪৮টি পদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চার হাজার ৭২৬টি যানবাহন টিও অ্যান্ড ই-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৪৮ হাজার ৫১০টি পদ বিলোপে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে ৩৭তম বিসিএসের মাধ্যমে এক হাজার ৪৯টি, ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার ৩৪টি ও ৩৯তম বিসিএসের মাধ্যমে ছয় হাজার ৭২৭টিসহ মোট ১০ হাজার ১১০টি পদে ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যাডার সার্ভিসের পাঁচ হাজার ৭৪৪ জনকে দেশে ও ৪৭৭ জন কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান-মর্যাদা দিয়ে তাদের সেবক হিসেবে কাজ করবে- এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে আমরা যুগোপযোগী পদায়ন নীতিমালা তৈরি করতে চাই। আমরা দক্ষ, জবাদিহিতামূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার বা ম্যাডাম বলতে হবে এমন কোনো রীতি নেই। স্যার শব্দের বাংলা অর্থ মহোদয়, আর ম্যাডাম শব্দের অর্থ মহোদয়া। রুলস অব বিজনেসে এটা নেই। জাতির পিতার নির্দেশনা ছিল যারা সেবা নিতে আসেন তাদের দিকে তাকাও, তারা তোমার বাবার মতো, ভাইয়ের মতো, আত্মীয়ের মতো। সেবা নিতে আসে জনগণ। তাদের টাকায় তোমাদের বেতন হয়।’

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। বিভাগীয় কমিশনার থেকে মাঠ প্রশাসনকে আমরা সেই নির্দেশনা দেই। জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। হাসিমুখের অ্যাটিচিউটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল, এটা কখনো করা যাবে না। আইনের মধ্যে থেকে সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার অ্যাটিচিউড থাকতে হবে।’

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published.