ঢাকা, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
বাঘুটিয়ায় দীর্ঘ দিনের পুরোনো মন্দিরে চলছে দূর্গা পূজার প্রস্তুতি
মোঃ আমিরুল হক (রাজবাড়ী) থেকে ঃ

গত বছরে মহামারি করোনার জন‍্য তেমন জাকিয়ে হয়নি দূর্গা মায়ের পূজা। ঈশ্বরের কৃপায় এই বছরে অনেকটাই কমে গেছে করোনার প্রাদূর্ভাব। তাই আশা করছি এবছরে আমরা ধুম ধামে দূর্গা মায়ের পূজা করতে পারবো। অনেকেই মন্দির দর্শণ ও প্রতিমা দর্শণ করতে যান বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু আমাদের ঘরের পাশেই রয়েছে প্রায় শতবর্ষ ধর ধর একটি মন্দির। যেখানে গেলে আত্মতৃপ্তি ঘটে। আর সেটি হলো রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের প্রত‍্যন্ত গ্রাম বাঘুটিয়ায়।
সরেজমিন ঘুরে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বাঘুটিয়া গ্রামে মৃত শ্রীযুক্ত বাবু অক্ষয় কুমার দাসের ছেলে শ্রী সুবোধ কুমার দাস ও শ্রী নিরোদ কুমার দাস এর বাড়ীর আঙ্গিনায় অবস্থিত দীর্ঘ আট দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা শ্রী শ্রী দূর্গা পূজা মন্দিরের পূজা উৎসব। গত বছরে ছিল না তেমন জাকজমক পূর্ণতা। তবে এবারে আশা করছি আলোক সজ্জ্র্বাসহ একটু ভিন্নতা আনার জন‍্য। তবে আমরা সরকারের নীতি নির্দেশনা মেনে শ্রী দূর্গা মায়ের পূজা করার প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি। কথাগুলো বললেন মৃত শ্রীযুক্ত বাবু অক্ষয় কুমার দাসের ছেলে শ্রীমান সুবোধ কুমার দাস।
বাঘুটিয়া দাসবাড়ী শারদীয়া দূর্গা মন্দিরের সভাপতি শ্রী সুবোধ কুমার দাস ও তাঁর ভাই শ্রী নিরোদ কুমার দাস কলেন, আমাদের দাদু শ্রীযুক্ত বাবু চন্দ্র কান্ত দাসের আমল থেকে বাঘুটিয়া গ্রামের আমাদের বাড়ীতে পারিবারিক পূজা মন্দিরে দূর্গা পূজা করা হতো। বংশ পরমপরায় আমাদের বাবা শ্রীযুক্ত বাবু অক্ষয় কুমার দাসও এই মন্দিরে দূর্গা পূজা করতে থাকে। ধীরে ধীরে এই মন্দিরের পূজায় সার্বিকভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয় এলাকার অনেকেই। আমরাও সবার সহযোগীতায় আজ আট দশকের বেশি সময় ধরে এই মন্দিরে শ্রী শ্রী দূর্গা মায়ের পূজা করে আসছি। বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের এই পুরানা মন্দিরের পূজা দেখতে আসে অনেকেই। এখানে সরকারের তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এই মন্দিরের যতটা উন্নয়ন সম্ভব তা করেছি। সরকার একটু নজর দিলে মন্দিরটি সুন্দর করে পরিপাটি করা যেতো। সুন্দর করতে পারলে এখানে আরো দর্শনার্থী ভীর জমাতো।
বাঘুটিয়া দাসবাড়ী মন্দির সম্পর্কে জানতে চেয়ে কথা হয় একই গ্রামের সোনামনি কিন্ডার গার্টেন এর অধ‍্যক্ষ শ্রী অখিল বন্ধু দাসের সাথে তিনি বলেন, আমি আমার জীবদ্দশায় দেখছিএই মন্দিরে নিয়মিত শারদীয়া দূর্গা পূজা পালিত হয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও মন্দিরটিতে চলছে দূর্গা মায়ের পূজার প্রস্তুতি। এই প্রায় শতবর্ষী মন্দিরে পূজা চলাকালীন সময়ে রাজবাড়ী ফরিদপুর জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী এখানে পূজা দেখতে ভীর জমায়া। সেই সাথে দেখা হয় প্রায় শতবর্ষী মন্দিরটি। তবে এই বাড়ীওয়ালার একার পক্ষে মন্দিরটি পরিপাটি করা একেবারেই অসম্ভব। সরকার একটু সুনজর দিলে বাঘুটিয়ার এই মন্দিরটি হয়ে উঠতে পারে দর্শনার্থীদের পূর্ণস্থল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x