ঢাকা, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
গাইবান্ধা মাতৃসদনে ডাক্তার নিয়োগের দাবিতে সিপিবি’র অবস্থান
সুমন কুমার বর্মন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (মাতৃসদন) গর্ভবতী মায়েদের একমাত্র ভরসার জায়গা। এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের জন্য একটি সিন্ডিকেট চক্র তৎপর।
গতবছর করোনা সংক্রমণ শুরু হলে লকডাউনের মধ্যে একমাসে কমপক্ষে তিনজন গর্ভবতী মাকে গভীর রাতে মাতৃসদন থেকে বের করে দিলে তারা রাস্তায়, অটো রিক্সায় সন্তান প্রসব করে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে এবং বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ করলে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়।
 আজ প্রায় এক বছর পার হলো প্রতিষ্ঠানটিতে আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদটি শূণ্য। এখানে রোগীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে একটি সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গরীব মানুষের ভরসার প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করতে তৎপর। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নিকট বারবার দাবি করা সত্বেও কোন এক অদৃশ্য কারণে এখানে ডাক্তার নিয়োগ দিচ্ছেন না।
প্রতিষ্ঠানটিতে অবিলম্বে আবাসিক মোডিকেল অফিসার নিয়োগ, সিজারিয়ান অপারেশন চালু, সেবার মান বৃদ্ধি এবং রোগী হয়রানি বন্ধের দাবিতে রাজপথে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গাইবান্ধা জেলা কমিটি।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে গানাসাস মার্কেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সিপিবি’র সাবেক জেলা সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, নারী শাখার সম্পাদক সুপ্রিয়া দেব প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ছাদেকুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের স্বার্থে স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিন্ডিকেট করে মাতৃসদনে আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদটি এক বছরের বেশি সময় ধরে শূণ্য করে রেখেছেন।
প্রতিষ্ঠানটি একটি সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। রোগীরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। তারা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডিডি’র অপসারণও দাবি করে বলেন, অবিলম্বে মাতৃসদনে ডাক্তার/আবাসিক মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দিতে হবে। নাহলে আরও বড় ধরণে কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুসিয়ারি দেন।
শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ১নং রেল গেইটে এসে শেষ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x