ঢাকা, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
কটিয়াদী উপজেলায় বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং, চরম ক্ষুব্ধ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের প্রতি মানুষ
মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক,কটিয়াদী(কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ঘনপ্রতিনিধিঃ ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। অপরদিকে আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে কখন আসবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। দিন-রাত ইচ্ছে মতো সময়ে-অসময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া এখন অফিসের নিয়মে পরিণত হয়েছে।বর্তমান সময়ে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলার সব বিদ্যুৎ গ্রাহক। এরপর আবার লোডশেডিং যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিদ্যুতের এমন আচরণে রাতের বেলা একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না গ্রাহকরা। শিক্ষার্থীরা রাতের বেলা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, প্রত্যান্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কল-কারখানা, ব্যাবসা-প্রতিষ্ঠান,চিকিৎসা,ব্যাংকিং সেবা,শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। সন্ধ্যার পর পরই উপজেলার প্রায় অধিকাংশ গ্রাম ও হাটবাজারে বিদ্যুৎ না থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ফ্রিজ,মোটর,কম্পিউটার,বাল্বসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে রাতে চার্জ দিতে না পারায় উপজেলার অসংখ্য ইজিবাইক চালকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিন-রাত যে কতবার বিদ্যুৎ আসে যায় তা হিসেব পাওয়া যায় না। এই আছে তো এই নেই। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলাকে স্হানীয়রা মিসকল নাম দিয়েছেন। এক দিনের নয়,নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভোগান্তি। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
উপজেলার পৌর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রাহক বলেন,আমাদের এখানে বিদ্যুতের এমন সমস্যা বহুদিনের। বিশেষ করে সন্ধ্যায় যায়,আসে রাত ১০/১১ টায়। কিছুক্ষণ থেকে আবার চলে যায়। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। চরঝাকালিয়া(টাইগার মোড়) গ্রামের মোঃ তৌহিদ মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ ছিল না ভালো ছিলাম। এখন বিদ্যুৎ পাওয়াতে কষ্ট আরো বেড়ে গেল। এভাবে চলতে থাকলে তো আমাদের আর গতি নেই।
কটিয়াদী সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন,সারা দিনে বিদ্যুৎ কতবার আসে যায় তার হিসেব নেই। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকাতে বাজারে মানুষই থাকে না। এভাবে চলতে থাকলে ব্যাবসা বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা এর একটা সুষ্ঠ সমাধান চাই।
এ বিষয়ে কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাইমুল হাসান বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুরে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলছে, তাই স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x