গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ইন্দারারপাড় পাইকরেতল পাথারি মন্ডপের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত মানসিক ভারসাম্যহীন আসামি ফেরদৌস আলমকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই কমল মোহন চাকী গত রোববার গাইবান্ধার চীফ জুডিসিয়াল বিচারকের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বর্তমানে আসামি থানা হাজতে রয়েছে।
গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের স্কুলের বাজার নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফেরদৌস ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত ধোপাডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বুলবুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামির স্বীকার উক্তি মোতাবেক জানা গেছে, সে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে ফেরদৌসের কথাবার্তায় মনে হয়েছে সে একজন মানসিক ক্ষতিগ্রস্থ যুবক।
গত মঙ্গবার দিবাগত রাতে মন্ডপের ভিতরে থাকা দেবতা ও দেবতার বাহনসহ ৭টি মূর্তি ভাঙচুর করে কে বা কাহারা। এরপর মূর্তির ভিতরে থাকা খড়কুট আগুন দিয়ে পুড়ে দেয় এবং মন্ডপের ভিতরের থাকা ডালা, কুলা, চালুন, সঙ, কাশি, ঘন্টসহ অন্যান্য উপকরণ নিয়ে যায়। স্থানীয় বিনোদ কুমার সরকার ও ফেরদৌস মিয়া জানান, গভীর রাতে মন্ডপের সামনে আগুন দেখতে পেয়ে তারা মন্ডপের দিকে এগিয়ে আসলে একজনকে পালিয়ে যেতে দেখে। পরে তারা পানি দিয়ে আগুন নিভে ফেলে। এনিয়ে মন্ডপের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক ফনি ভুষণ চন্দ্র বর্মন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে থানায় মামলা করে।