পাবনায় শুধু মানসিক হাসপাতালে জন্যই নয় আরো সুন্দর সুন্দর নান্দনিক ঐতিহ্য এবং দৃশ্যপট রয়েছে যেখানে মনমুগ্ধকর কিছু জায়গা রয়েছে আজ সেই জায়গাগুলো কিছু কিছু দৃশ্য তুলে ধরেছেন পাবনা জেলা প্রতিনিধি মুনিম শাহারিয়ার কাব্য ১৯৯৬ এর আওয়ামীলীগ সরকারের সময় পাবনা-৩ এলাকার তৎকালীন এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ওয়াজি উদ্দিন খান বড়বিলার পশ্চিম পাশ দিয়ে ভেড়ামারা-হাদল মাটির রাস্তা তৈরী করেন।
রাস্তাটি পাবনা ক্যাডেট কলেজের পাশ দিয়ে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে গিয়ে লেগেছে। পর আওয়ালীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এলে এবং আলহাজ্ব মকবুল হোসেনের এমপি হলে রাস্তাটি পাকা করা হয়। এ রাস্তা দিয়ে ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া থেকে পাবনা যেতে অন্যান্য রাস্তা থেকে প্রায় ১ ঘন্টা সময় কম লাগে। বর্ষার সময় দীর্ঘ প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্ব বড়বিল এলাকা থেকে ঢেউ এবং বিশাল জলরাশিকে হাদল-হাটগ্রাম থেকে কক্সবাজারের মতই মনে হয়। তাই এ স্থানটি গত ৪/৫ বছর ধরে পিকনিট স্পটে পরিণত হয়েছে। সেখান থেকে আর খুব সহজেই ফরিদপুর রাজবাড়ী যাওয়া যায় খুব কম সময় ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী বনওয়ারীনগর রাজবাড়ী:জনশ্রুতি জানা যায়, ষোড় শতাব্দীর শেষের দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের জমিদার বনওয়ারী লাল রায় বর্ষা কালে বজরা নৌকায় করে ফরিদপুর হয়ে পাবনার লাটের খাজনা দিতে রওয়ানা দেন।পথি মধ্যে বর্তমান রাজবাড়ীর স্থানে পৌঁছালে সেখানে পদ্ধ পাতার উপরে “ভেক কর্তৃক শর্প ভক্ষন’ এর দৃশ্য দেখে স্থানটি অতীব সৌভাগ্যের মনে করেন এবং এস্থানে একটি রাজবাড়ীপ্ রতিশ্ঠার চিন্তা-ভাবনা করেন। এরও পরে তাড়াশ থেকে জমিদারির প্রধান কার্যালয় এখানে স্থানান্তর করেন।রাজবাড়ীর মধ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “অন্দরমহল’ বা “রাণীমহল’। এর লাগোয়া দক্ষিণ পাশে দিঘির মধ্যে চারদিকে ঘেরা গোসাল খানা বা রাণীর ঘাট (জমিদার পরিবারের মেয়েদের কড়াকড়ি পর্দার কারণে তৈরী) এর পূর্বপার্শ্বে “হাওয়াখানা’। তৎকালে দক্ষিণ দিকে কয়েকশ মাইল কোন গ্রাম না থাকা সূদুর থেকে মৃদু মন্দ সমীরণ ভেসে এসে কর্ম ক্লান্ত জমিদারকে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিত। বর্তমানে এটি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। এর পূর্বপাশে “রাধা বিনোদ মন্দির’। এ মন্দিরে কখ্টি পাথর ও সোনার বিগ্রহ ছিল। বর্তমানে একটি পরিত্যক্ত। এর র্প্বূপাশে দোতলা নাট্য মন্দির।
জমিদার পরিবারের মেয়েরা দোতলা থেকে পূর্জা অর্চনা ও নাট্যভিনয় দেখত। সূদুর কলকাতা থেকে অভিনেতারা এখানে এসে অভিনয় করত। এটি এখন অফিসার্স ক্লাব। জমিদার বনওয়ারী লাল রায় বৃন্দাবনে মারা যাবার পরে তাঁদের দত্তকপুত্র বনমালী রায় এ রাজবাড়ী ও জমিদারির মালিক হন। বর্তমানে ফরিদপুর উপজেলা পরিষদের বেশির ভাগ অফিসই এ রাজবাড়ীর মধ্যে অবস্থিত। বর্তমানে এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র বটে। প্রতিদিন অনেক দর্শনাথী ও পিকনিক পার্টির লোকজন এ রাজবাড়ী দেখতে আসেছ।
Leave a Reply