ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
কুচক্রী মহল কারা, জানালেন যুবলীগ চেয়ারম্যান
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ৪৬ বছর আগে এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। বাঙালির মুক্তির মহানায়ক স্বাধীনতার সংগ্রাম শেষে যখন ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা থেকে দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তির নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন, তখনই ঘটানো হয়েছিল ইতিহাসের নির্মম এ জঘন্য হত্যাযজ্ঞ।  এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়ার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই আমরা খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

শুক্রবার সকাল ১০টায় পল্টন ময়দানে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহিদদের স্মরণে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে ১০০০ (এক হাজার) অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচএম রেজাউল করিম রেজা।

যুবলীগ চেয়ারম্যান তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে কুচক্রী মহল সম্পর্কে বলেন, এই নরপিশাচ কুচক্রী মহল কারা; আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তা জানতে হবে। এই নরপিশাচ কুচক্রী মহল হলো- ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি, যারা পাকিস্তানি ভাবধারা পোষণ করতো। রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী। বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হোক তা তারা মেনে নিতে পারেনি। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে যেসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনি। দক্ষিণ এশিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো জাতীয়তাবাদী নেতার উত্থান ও বিশ্বনেতা হয়ে ওঠা তারা মেনে নিতে পারেনি। মূলত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এই দু’য়ে মিলেই কুচক্রী মহল। এই পরাজিত শক্তি এখনো সমগ্র বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য সজাগ রয়েছে। এদের থেকে, এদের চিন্তাধারা থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে সজাগ থাকতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার এই মহাসঙ্কটে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় করোনার শুরু থেকে যুবলীগ সারা দেশে কাজ করে যাচ্ছে।  প্রতিটি দুর্যোগে যুবলীগ সব সময় মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে।  বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা সব সময়ে সমালোচনায় ব্যস্ত, করোনার এই মহাসঙ্কটে অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সমালোচনায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এটাই বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক এনআই আহমেদ সৈকত, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি আহম্মদ উল্লাহ মধু, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, মাহবুবুর রহমান পলাশ, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, মো. ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহিম খলিল মারুফ, প্রচার সম্পাদক এরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন সায়মন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহনাজ পারভীন হীরা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ পলাশ, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহজালাল রিপন, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকার, সহ-সম্পাদক সাইদ হারুনুর রশীদ, হাবিবুর রহমান পারভেজ, হাসান শিশির, সদস্য আমিনুল ইসলাম মানিক, মনির বিশ্বাস, এম আর মিঠু, গোলাম মোস্তফা, এ আর বাচ্চুসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতারা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x