ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মনোরঞ্জন রায় (৫৫) এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের এসসি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত মনোরঞ্জন রায় (৫৫) গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের প্রয়াত দিগেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে এবং তিনি গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
এর আগে গতকাল শনিবার (৭ আগস্ট) ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায়, তার স্ত্রী সোমারী রায় (৪৮), ছেলে চন্দন রায় (২৬), মেয়ে মালা রাণী (৩০), জামাই সৌখিন রায় (৩৫) ও মেয়ে কৃত্তিকা রাণী (২২) কে আসামী করা হয়।
মামলার বিবরনে যানা যায়, ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে চন্দন রায়ের সাথে মামলার বাদীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মামলার বাদী ও চন্দন রায় সম্পর্কে খালাতো ভাই বোন। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় চন্দন রায় ওই তরুণীকে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এতে ঐ তরুণী অন্তঃসত্তা হয়ে যায়। এরপর ঐ তরুণী ইউপি সদস্যের ছেলে চন্দন রায়কে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য মোবাইলে মেসেজ করে। পরে ৮ জুন বিকেলে কৌশলে চন্দন রায় ওই তরুণীকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায় ও তার পরিবারের লোকজন তরুণীকে মারপিট করে এবং বাচ্চা নষ্ট করার জন্য জোরপূর্বক ওষুধ খাওয়ায়। এছাড়াও ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায় ঐ তরুণীর গলায় ধারালো ছোড়া ঠেকিয়ে জোরপূর্বক একটি ৩শ টাকার ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম সাংবাদিক কে বলেন, এ মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায়কে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
I was examining some of your blog posts on this website and I think this
internet site is very instructive! Keep posting.Leadership