ঢাকা, সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
ভুয়া সনদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) এবং চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি অ্যান্ড রাইটসের (এফডিএসআর) অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির। শনিবার (৭ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন এবং দেশি-বিদেশি সনদ ভিডিওতে প্রদর্শন করেন।

ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এফডিএসআর এর পক্ষ থেকে আমার কাছে একটা চিঠি এসেছে। অনেকেই এটাকে উকিল নোটিশ মনে করেছেন। কিছু মিডিয়াও সেটাকে উকিল নোটিশ বলে প্রচার করেছে। এটা আসলে উকিল নোটিশ ছিল না। এটাতো একটি ব্যক্তিগত চিঠি ছিল। আমি জানি না চিঠিটা মিডিয়াতে কিভাবে এসেছে বা আসা উচিৎ ছিল কিনা। চিঠিটা মিডিয়াতে যাওয়ার ফলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি আসলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার বাবা-মা কান্নাকাটি করছে। বিভিন্ন মিডিয়াতে যখন এই খবরগুলো এসেছে তারা অনেক কষ্ট পেয়েছে।

ডা. জাহাঙ্গীর কবির তার ডিগ্রি প্রসঙ্গে বলেন, কিছু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে আমি যে ডিগ্রিগুলো ব্যবহার করি সেগুলো আসলে সঠিক না। আমি এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। আমার মূল ডিগ্রিটি হচ্ছে এমবিবিএস (২০০০ সাল) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। এছাড়াও কিছু ট্রেনিংয়ের বিষয় উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর সার্টিফিকেট, এফসিজিপি ট্রেনিং সার্টিফিকেট, বারডেমের সিসিডি কোর্স, ওপেন ইউনিভার্সিটি ইউকে থেকে ডায়াবেটিস ও অ্যাজমার ট্রেনিং । এছাড়াও তিনি দেশি-বিদেশি ট্রেনিংয়ের সনদ, আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ, পোস্টার প্রেজেন্টের সদন ভিডিওতে প্রদর্শন করেন।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটাই আবেদন। আমার ডিগ্রিগুলো সঠিক না হলে আমি কিভাবে ২০ বছর ধরে প্রাকটিস করছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছি? কিভাবে পেজেন্টেশন দিয়েছি? আমি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে সেমিনার করেছি। এই বিষয়গুলো আমি বলার চেষ্টা করেছি। এরপর আপনাদের মনে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। আমি আশা করবো আপনাদের সকল বিভ্রান্তি দূর হবে। আমি আমার বাস্তবতা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। আর বিএমডিসি থেকে যে চিঠি পেয়েছি সেটার আলোকে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার পেডে শুধু মাত্র ডা. জাহাঙ্গীর কবির (এমবিবিএস) লিখবো। আর কিছু লিখবো না। আমি যে কাজ করছি আমার মনে হয় এর থেকে আর বেশি কিছু লিখার দরকার নেই।

এর আগে, রোববার (১ আগস্ট) জাহাঙ্গীর কবিরের কর্মকাণ্ডকে অবৈজ্ঞানিক, অসত্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে চিঠি দেয় চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি অ্যান্ড রাইটস (এফডিএসআর)।

এছাড়াও বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) আবেদন ও অনুমোদন ছাড়াই চারটি ডিগ্রি ব্যবহার করছেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে চিঠি দেয় বিএমডিসি।

এরপর মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে তার নিজস্ব ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x