করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের কারনে নওগাঁর আত্রাইয়ে গরু ছাগল ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বিখ্যাত আহসানগঞ্জ হাট গরু ছাগল শূন্য হয়ে রয়েছে। ফলে একদিকে গরু ছাগল ক্রেতা বিক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। অপরদিকে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে হাটের ইজারাদারকে।
যুগ যুগ থেকে উত্তরা লের ঐতিহ্যবাহী হাট হিসেবে খ্যাত আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ হাট। উত্তরা লের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে লোকজন এ হাটে এসে থাকেন। বিশেষ করে গরু ছাগল ক্রয় বিক্রয়ের জন্য এ হাটের রয়েছে ব্যাপক সুখ্যাতি। সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবার করে এ হাট লাগে। যেখান থেকে পাইকাররা গরু ছাগল ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাট বাজারে নিয়ে যান। বিশেষ করে কুরবানীর ঈদের আগের ২/৩ হাটে হাজার হাজার গরু ছাগল ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। এদিকে এ হাট থেকে সরকারের প্রতি বছর কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আয় হয়। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের কারনে হাট বাজার ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ হাটও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে একদিকে আসন্ন কুরবানী উপলক্ষে গরু ছাগল ক্রেতা বিক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। অপরদিকে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে হাটের ইজারাদারকে।
হাটের ইজারাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুরবানী উপলক্ষে আমরা গরু ছাগলের হাট লাগানোর জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি করেছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে অনুমতি দেয় হয়নি। ফলে আজকের এক হাটে আমার প্রায় ৯ লাখ টাকা লোকসান হলো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, চলমান কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কারনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে গরু ছাগলের হাট লাগানোর অনুমতি পাওয়া যায়নি।