আধুনিক সদর হাসপাতালের করোনা পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের গাদাগাদি করতে দেখা যায়। ৪ জুলাই রোববার সেখানে দেখা যায়, পরীক্ষা করতে আসা দূর দুরান্তের রোগীদের ভীড় জমেছে। এতে আক্রান্ত না হলেও আক্রান্ত হওয়াল ঝুকি থাকছে শতভাগ। তার পরও একটি ছোট কক্ষেই ১০-১৫ জন গাদাগাদি করে দাড়িয়ে রয়েছেন করোনার সেম্পল দিতে। সেম্পল দিতে আসা পরেশ বলেন, আমি ৪-৫ দিন থেকে জ¦র, সর্দিতে ভুগছি। চিকিৎসকেরা আমাকে করোনা পরীক্ষা করতে বলেছেন। এখানে পরীক্ষা করতে এসে ভীড় দেখে মনে হচ্ছে পরীক্ষা না করাই ভাল ছিল। আমার করোনা আছে কিনা আমি জানিনা, এখানে আক্রান্ত না হলেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অবশেষে তিনি পরীক্ষা না করিয়েই হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার শীবগঞ্জ এলাকার জয়নুল ইসলাম বলেন, আমি টিকিট কেটে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু এখন লাইনে দাড়িয়ে শুনি তারা ভিতরে ভিতরে সিরিয়াল নিয়েছে। এখন আর সিরিয়াল নিবেনা। এ সময় অন্ধকার ঘরে মোবাইলের আলো জ¦ালিয়ে নামের সিরিয়াল নিতে দেখা যায় কর্তব্যরত একজনকে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, রোগীদের গাদাগদি না হওয়ার জন্য বড় যায়গায়, বড় পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আমরা তাদের সচেতন থেকে সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বলেছি। উল্লেখ্য যে, গত ২৪ ঘন্টায় ২৮৬টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ১৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। নতুন ৭ জনের মৃত্যুসহ মোট ৯৪ জন আক্রান্ত রোগী মারা যান। জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৩৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ হাজার ২৬১ জন।