ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১১ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে আমন ধান ক্ষেত মাজরা পোকার আক্রমন কৃষকেরা দিশেহারা ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও

বাংলাদেশে তিন ধরনের মাজরা পোকা ধানের ক্ষতি করে থাকে – হলুদ মাজরা, কালো মাথা মাজরা এবং গোলাপী মাজরা পোকা। এই পোকাগুলোর কীড়ার রং অনুযায়ী তাদের নামকরণ করা হয়েছে। এদের আকৃতি ও জীবন বৃত্তান্তে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও ক্ষতির ধরণ এবং দমন পদ্ধতি একই রকম। হলুদ মাজরা পোকা প্রধানত বেশী আক্রমণ করে। নিম্নে হলুদ মাজরা পোকার বিবরণ দেয়া হলো- পূর্ণ বয়স্ক হলুদ মাজরা পোকা এক ধরনের মথ। স্ত্রী পোকার পাখার উপরে দুটো কালো ফোঁটা আছে।

পুরুষ মথের পাখার মাঝখানের ফোঁটা দুটো স্পষ্ট নয় তবে পাখার পিছন দিকে ৭-৮ টা অস্পষ্ট ফোঁটা আছে। হলুদ মাজরা পোকার স্ত্রী মথ ধান গাছের পাতার আগার দিকে গাদা করে ডিম পাড়ে। এক সপ্তাহের মধ্যে ডিম ফুটে কীড়া বের হয়। কীড়ার রং সাদাটে হলুদ। কীড়াগুলো কান্ডের ভিতরে প্রবেশ করে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহে পুত্তলিতে পরিণত হয়। তবে শীতকালে কীড়ার স্থিতিকাল ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে। পুত্তলিগুলো এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে বয়স্ক পোকায় পরিণত হয় এবং কান্ডের ভিতর থেকে বের হয়ে আসে। ক্ষতির ধরণ– মাজরা পোকা শুধুমাত্র কীড়া অবস্থায় ধান গাছের ক্ষতি করে থাকে। সদ্য ফোঁটা কীড়াগুলো দু’চারদিন খোল পাতার ভিতরের অংশ খাওয়ার পর ধান গাছের কান্ডের ভিতর প্রবেশ করে। কান্ডের ভিতর থেকে খাওয়ার সময় এক পর্যায়ে মাঝখানের ডিগ কেটে ফেলে। ফলে মরা ডিগের সৃষ্টি হয়। গাছের শীষ আসার আগে এরকম ক্ষতি হলে তাকে ‘মরা ডিগ’ বলে। আর গাছে থোর হওয়ার পর বা শীষ আসার সময় ডিগ কাটলে শীষ মারা যায় বলে একে ‘মরা শীষ’ বলে। ‘মরা শীষ’ এর ধান চিটা হয় এবং শীষটা সাদা হয়ে যায়। বোরো, আউশ এবং আমন এই তিন মৌসুমেই এই পোকার আক্রমণ দেখা যায়।

জৈবিক পদ্ধতিতে দমন– মাজরা পোকার ডিমের গাদা সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলা। ক্ষেতে ডাল-পালা পুঁতে দিয়ে পোকা খেকো পাখির সাহায্যে পোকার সংখ্যা কমানো যায়।  সন্ধ্যার সময় আলোক ফাঁদের সাহায্যে মথ আকৃষ্ট করে মেরে ফেলা। রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমন–রোগাক্রান্ত হলে নিম্নোক্ত কীটনাশক বীজতলা বা জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। সমাধান– ধানের জমিতে ১০০ টির মধ্যে ১০-১৫ টি মরা কুশি অথবা ৫ টি মরা শীষ পাওয়া গেলে অনুমোদিত কীটনাশক যেমন– ৩৩ শতাংশ জমিতে ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি ১০ গ্রাম/কারটাপ ৫০ এসপি ১০০ গ্রাম হারে অথবা কার্বোফুরান গ্রুপের কীটনাশক যেমন- ফুরাডান ৫ জি ১০ কেজি/হেক্টর হারে বা ব্রিফার ৫জি ১০ কেজি/হেক্টর হারে অথবা ডায়াজিনন গ্রুপের কীটনাশক। এছাড়া বেল্ট এক্সপার্ট, বাতির, কার্ট্রাপ্রিড, এসিপ্রিড প্লাস, ডাক্সার্কাব, মারশাল, ব্রাভো, সানটাপ ব্যবহার করতে পারেন।

8 responses to “ঠাকুরগাঁওয়ে আমন ধান ক্ষেত মাজরা পোকার আক্রমন কৃষকেরা দিশেহারা ।”

  1. Hurrah, that’s what I was looking for, what a material!
    present here at this webpage, thanks admin of this web site.

  2. At this moment I am going away to do my breakfast, after having my breakfast coming over again to read additional news.

  3. I like the helpful information you provide in your articles.
    I’ll bookmark your blog and check again here frequently.
    I am quite certain I will learn many new stuff right here!
    Good luck for the next!

  4. I’m not sure exactly why but this weblog is loading extremely slow for me.
    Is anyone else having this issue or is it a issue on my end?

    I’ll check back later on and see if the problem still exists.

  5. Ahaa, its fastidious conversation concerning this paragraph here
    at this blog, I have read all that, so at
    this time me also commenting at this place.

  6. I pay a visit day-to-day a few websites and information sites to read posts, however this website
    presents feature based content.

  7. Thanks for finally talking about >ঠাকুরগাঁওয়ে
    আমন ধান ক্ষেত মাজরা পোকার
    আক্রমন কৃষকেরা দিশেহারা ।
    – দৈনিক ডাক <Liked it!

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x