ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
চাঁদাবাজদের হুমকিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর গণপিটিশন দায়ের
মোঃ জাহিদ হাসান মিলু ঠাকুরগাঁও,

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেওগাঁও এলাকায় একদল চাঁদাবাজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। তাদের আতংকে দিশেহারা জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার মানুষ।

চলমান এই বর্বরদশার বলি হয়েছে এক কৃষক পরিবার। চাঁদাবাজদের হুমকিতে নিজ বাড়িতেই বন্দি দশায় দিন পার করছে তারা।

ভুক্তভোগী পরিবারের কর্তা লালচাঁন বলেন, আমরা বের হলেই মেরে ফেলবে। তাই বাসা থেকে বের হতে পারছিনা। আমাদের বাজার করে দিচ্ছে প্রতিবেশীরা। থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু ওরা পুলিশকে ভয় পায় না। চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ কাউকেই ভয় পায় না। আমরা প্রন ভয়ে রয়েছি।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,  ৮০ শতাংশ জমিতে লালচানের একটি লিচুর বাগান আছে। বাগানে ৫০ টি লিচুর গাছ রয়েছে। এলাকার কিছু যুবক সেই বাগানের ওপর ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় বাগানে প্রবেশ করতে নিষেধ করে বাগান মালিককে। বাগান মালিক লালচান টাকা না দিয়ে বাগানের লিচু পাড়তে গেলে সেই যুবকেরা তাকে ও তার সন্তান কে মারধর করে। পড়ে লালচান দৌড়ে পালিয়ে ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশি সহায়তা নেয় ও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। পরে এলাকাবাসীর স্বাক্ষর নিয়ে একটি গণপিটিসন দেন।  এতে করে অভিযুক্ত যুবকেরা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয় এবং চাঁদার পরিমান বাড়িয়ে ০১ লক্ষ করে। টাকা ছাড়া বের হলেই মেরেফেলার হুমকির দেয় তারা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য খাদেমুল বলেন, ঘটনাটি আমি জানি। লালচানের পরিবার অসহায়। তাই তাদের বিষয়ে কথা বলতে আমি বেশ কয়বার নয়ন ও আলামিনের( অভিযুক্ত যুবক) সাথে কথা বলেছি। কিন্তু ওরা শুনেনি। ওরা অনেক বেপরোয়া। কিছুদিন পর পরেই তাদের এমন অভিযোগ শোনা যায়। আমাদের সম্পুর্ন এলাকাই অতিষ্ঠ। ওদের কিছু বলাযায় না। কিছু বললেই মারপিট ও হত্যার হুমকি দেয়। তাই আমি তাদের(ভুক্তভোগী পরিবারকে) গণপিটিশন দেওয়ার পরামর্শ দেই। পরে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, ডিআইজি ও থানার অফিসার্স ইনচার্জ বরাবর গণ পিটিশন পাঠিয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতিবেশী বাবুল জানান, লালচান ও তার ছেলেকে এসে তারা মেরেছে এখন নাকি বের হলেই মেরে ফেলবে। তাই তারা বাসা থেকে বের হচ্ছে না। আমরা মাঝে মাঝে তার পরিবারের প্রয়োজনীয় বাজার বাসায় দিয়ে আসছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক প্রতিবেশী জানায়, মাস খানেক আগে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিলো। আমি ভয়ে তাদের কে টাকা দিয়ে দিয়েছি। তাদের উপরে কথা বলার কেউ নেই।

ইউপি চেয়ারম্যান মুকুলের সাথে কথা বলতেগেলে তিনি বিষয়টা কিছুটা এড়িয়ে যান, তিনি বলেন বিষটি আমি শুনেছি।  তবে তাকে সেইভাবে কেউ অভিযোগ করেনি।

এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ ও গণপিটিশনও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x