ঢাকা, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
মৃত্যুপুরী খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ৩৯ জনের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এপ্রিল মাসের পর থেকে এটাই একদিনে বিভাগে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে বিভিন্ন সময় সর্বোচ্চ ৩৬ জন মারা গিয়েছিল।

খুলনার স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায়  বিভাগের ১০টি জেলায় ৩ হাজার ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১ হাজার ২৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৯০০ জন।

খুলনা বিভাগে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি সাতক্ষীরা জেলায় ৪৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাটিতে ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। দ্বিতীয় অবস্থায় রয়েছে কুষ্টিয়ায়। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৩২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৩৯ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে খুলনা জেলা। এ জেলায় আক্রান্তের হার ৩৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪২ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছেন খুলনা জেলায় ৮ জন। যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় মারা গেছেন ৭ জন করে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ভারী বর্ষণে হাসপাতালের ভেতরে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন খুলনা করোনা হাসপাতালের রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৩০ শয্যার হাসপাতালে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৯৮ রোগী ভর্তি আছেন। শয্যা না থাকায় অতিরিক্ত রোগীদের থাকতে হচ্ছে মেঝেতে। বৃষ্টিতে সেখানে পানি প্রবেশ করায় রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

পানি প্রবেশ করে অনেক রোগীর বিছানা ভিজে যায়। করোনা সংক্রমণের মধ্যে নতুন ভোগান্তি বিপদে ফেলেছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। পরে অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অন্য স্থানে সরিয়ে নেন।

বিকাল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালের হলুদ জোনের মেঝেতে পানি জমে ছিল। পানি মাড়িয়ে হাসপাতালে প্রবেশ ও বের হতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭০ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ৩৭ জন নারী। হাসপাতালটিতে ধারণ ক্ষমতা ৭০ শয্যা। তবে বৃষ্টিতে তাদের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।

এ ব্যাপারে খুলনা করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, বৃষ্টিতে তেমন সমস্যা হয়নি। হাসপাতালের আরও ৭০টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ  বলেন, রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় আগামী শনিবার থেকে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ শয্যাসহ মোট ৪৫ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। করোনা হাসপাতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও ৭০টি শয্যা। এতে করে রোগীদের আরও ভালোভাবে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x