ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে বাজারে উঠছে আম – করোনার প্রভাবেও দাম বেশি
মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও জেলায় বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের আম। ইতিমধ্যেই পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান ও ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বসেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট। সেখানে প্রতিদিন ক্রেতা সমাগমও হচ্ছে প্রচুর। করোনার প্রকৌপ থাকলেও চরা দামেই বিক্রি হচ্ছে আম। ক্রেতা চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।

বিভিন্ন জাতের আম কেনার জন্য ভীড় করতে শুরু করেছে ক্রেতা সাধারণ।  এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুন মঙ্গলবার পৌর শহরের কালিবাড়ি বাজার, চৌরাস্তা, কালেক্টরেট চত্বর, বাসস্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রীজ, গোধুলী বাজার, সেনুয়া হাট, কোট চত্বর, আমতলা মোড়, তাঁতীপাড়া, মুন্সিরহাট, ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠ, রেল ক্রোসিংসহ বেশকিছু স্থানে বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়াও ফেরি করে বেশ কিছু ভ্রাম্যমান আম ব্যবসায়িকে আম বিক্রি করতে দেখা যায়।  ঠাকুরগাঁও জেলায় সুর্যাপুরী, লাবুয়া, হাড়িভাঙ্গা, ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, অরুনা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, পাহুতান, ত্রিফলা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী ইত্যাদি যাতের আম চাষ হয়।

এগুলোর মধ্যে স্থানীয় প্রজাতি সূর্যাপুরী ও হাড়িভাঙ্গা জাতের আমের চাহিদা অনেক বেশি। পৌর শহরের কালিবাজাড়ি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অস্থায়ী ভিত্তিতে আমের হাট বসেছে। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি সূর্যাপুরী ২৫-৪০ টাকা, লাবুয়া ৩০-৫০ টাকা, হাড়িভাঙ্গা ৪৫-৬০ টাকা, গুটি আম ২০-৫০ টাকা, আ¤্রপালি ৩০-৬০ টাকা, দরে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে আম কিনতে আসা কাইমুদ্দিন নামে ক্রেতা বলেন, সূর্যাপুরী ও হাড়িভাঙ্গা জাতের আম কিনতে এসেছি। করোনা পরিস্থিতিতেও দাম একটু চড়া। প্রতি কেজি সূর্যাপুরী ৩৫ ও হাড়িভাঙ্গা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও গত বছর এর চেয়ে কম দামে কিনেছিলাম। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে আসা আম বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক বছর শুরুতেই আম বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু করোনার কারনে এ বছর আম কম বিক্রি হচ্ছে। মানুষজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে কম। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জুস ও অন্যান্য কোম্পানীর পক্ষ থেকে বাগানেই আম কিনলেও এ বছর তারা কম আসছেন, ফলে বাগানেও কিছু আম নষ্ট হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় আম বাগানের পরিমাণ ৮ হাজার ২৯ হেক্টর। আর আম বাগানের সংখ্যা ৩ হাজার। এর মধ্যে পীরগঞ্জ-হরিপুর উপজেলায় আম বাগানের সংখ্যা বেশি।

ঠাকুরগাঁও জেলার বিখ্যাত আমের নাম সূর্যপূরী। এটি সাধারণত বালিয়াডাঙ্গী এলাকায় বেশি চাষ হয়। বিশেষ করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী এলাকায় রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি  সূর্যপূরী আম গাছ। প্রায় ২ বিঘা জমি জুড়ে আম গাছটি দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড় জমে। এ আম ইতোমধ্যে সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। পাতলা আঁটি আর সুমিষ্ট গন্ধ যেন মন কেড়ে নেয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার সূর্যপূরী আম সারাদেশে সুনাম কুড়িয়েছে। এখানকার আমে পোকা থাকেনা এটা এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আমের আকার দেখতে ছোট হলেও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। জেলায় আমের ভালই ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে বাজারে আম উঠতে শুরু করেছে। করোনার কারণে ব্যবসায়িরা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। তার পরও আমের চাহিদা থাকায় ব্যবসায়িরা লাভবান হবেন বলে প্রতাশা ব্যক্ত করেন।

3 responses to “ঠাকুরগাঁওয়ে বাজারে উঠছে আম – করোনার প্রভাবেও দাম বেশি”

  1. … [Trackback]

    […] Read More Information here to that Topic: doinikdak.com/news/30476 […]

  2. … [Trackback]

    […] Find More Info here on that Topic: doinikdak.com/news/30476 […]

  3. … [Trackback]

    […] Here you can find 50295 additional Information on that Topic: doinikdak.com/news/30476 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x