পাবনার সুজানগর উপজেলায় এলজিইডির ১ কোটি ২৯ লাখ টাকার সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। কাজ শেষ হতে না হতেই ১০ দিনের মাথায় বিভিন্ন স্থানে উঠে গেছে কার্পেটিং, ভেঙে পড়েছে রাস্তার বিভিন্ন অংশ। এমন দায়সারা গোছের কাজে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
যানবাহন চলাচলের সময় চাকার সঙ্গে অনেক জায়গায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করে এলাকাবাসী হাত দিয়ে সড়কের কিছু অংশের কার্পেটিং তুলে ফেলেন। এটি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংস্কারের আওতায় সুজানগর উপজেলার ফকিরহাট (২৪ মাইল) বাজার থেকে আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় হয়ে গোবিন্দপুর বোয়ালিয়া বাজার পর্যন্ত ৩১৬০ মিটার রাস্তা সংস্কারের কার্যাদেশ পায় নওগাঁ বসুন্ধরা হাউস বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটির সংস্কার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বেড়া উপজেলার আমিনপুর এলাকার মো. আব্দুল আলিম নামে এক ঠিকাদার কাজটি কিনে নিয়ে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করেন। ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিলের মধ্যে কাজটি সমাপ্তির নির্দেশনা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে সমাপ্ত করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রাস্তাটির সংস্কার কাজ শেষ করতে বলে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু হানিফ বলেন, জুন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে বলে জানতে পেরেছি। তাই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে ঠিকাদার রাস্তাটির সংস্কার কাজ শেষ করার চেষ্টা করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া উপযুক্তমান ও পরিমাণে বিটুমিন এবং কেরোসিন ব্যবহার না করাসহ নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করারও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল আলিম জানান, বৃষ্টির মধ্যে অল্প কিছু অংশে রাস্তার কাজ করার কারণে এবং গত দুই দিন আগে মাটিবহনকারী ভারি ভেকু সড়কে যাতায়াত করায় এমন হয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তা পুনরায় করে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এলজিইডি সুজানগরের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল বাতেন জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিম্নমানের কাজ প্রমাণিত হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।