ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীরকে কেন্দ্র করে ক্রাইম রিপোর্টারেরা বিভক্ত
অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর গুলশানে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে সংবর্ধনা দিয়েছে অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশের পর সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। এমনকি খোদ সংগঠনের মধ্যেও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদের সংগঠনটি থেকে পদত্যাগ চেয়েছেন পারভেজ নাদির রেজা ও মিজানুর রহমান মহিম ওরফে মহিম মিজান নামে দুই সদস্য। তার দুজনই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভিতে কাজ করেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সাংবাদিকদের ফেসবুক গ্রুপে ‘ক্র্যাবের সাধারণ সদস্য পদ প্রত্যাহারের খোলা চিঠি’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশ করেন। সেখানে পারভেজ নাদির রেজা লিখেন : “প্রিয় সহকর্মী সদস্যবৃন্দ, আমি পারভেজ নাদির রেজা, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ২০০৮ সাল থেকে। আমি মনে করি বর্তমান কমিটি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে, তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পুরো সাংবাদিক সমাজকে সাধারণের মানুষের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। তাদের এই অনৈক্য কর্মকাণ্ডের কারণে আমার পরিবার, স্বজন এবং বন্ধুদের কাছে হেয় হয়েছি। সবারই একটাই প্রশ্ন আমরা, সাংবাদিকরা ব্যক্তিগতভাবে এবং সাংগঠনিকভাবে টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছি কি না? তাদের এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নাই? তাই দিতেও পারি নাই। এরপর অনেকে এটাও জানতে চান, এই সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমার পকেটে কত টাকা এসেছে এবং সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, আমরা সবাই আনভীর সোবাহানের টাকার ভাগ পেয়েছি। ফেসবুকে সংগঠনের নাম ‘ক্রাইম সাপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন’ লিখে ট্রল করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিশিষ্টজনরা এ বিষয়ে ফেসবুকে তাদের উষ্মা প্রকাশ করছেন। সাধারণ মানুষের কাছে সাংবাদিকদের সম্পর্কে এমন ধারণা তৈরিতে আমার যেসব নেতারা কাজ করেছে তাদের প্রতি একরাশ ঘৃণা। এর চেয়ে বেশি কিছু করার সুযোগ যেহেতু আমার নাই, তাই ঘৃণা জানানোই সবচেয়ে উত্তম বলে মনে করছি।”

এই ক্র্যাব সদস্য আরো লিখেন, “যে নেতারা টাকার নেশায় সময়, প্রেক্ষিত ও মাত্রাজ্ঞান ভুলে যান, তারা নেতৃত্ব দেওয়ারও সব যোগ্যতা হারান। তাই এই কমিটির কোনো সদস্যকেই আর সংগঠনের নেতা হিসেবে মানছি না। তাদের প্রতি অনাস্থা আনলাম। যদি আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিশেষ সাধারণ সভা না ডেকে তারা তাদের আস্থাহীনতার ভোটাভুটি না করেন, তাহলে এই কমিটি থাকা অবস্থায় সংগঠনের সাধারণ সদস্য হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলাম। আর যদি তারা আস্থা ভোটে জিতে যান, তাহলে পুরোপরি এই সংগঠন থেকে আমার সাধারণ সদস্য প্রত্যাহার ধরে নিতে হবে। কারণ তখন বুঝে নেবে “সবকিছু নষ্টদের দখলে চলে গেছে বা আমি নিজেই নষ্ট হয়ে গেছি”।

পারভেজ নাদির রেজা লিখেন, “নিয়ম অনুযায়ী এটা আবেদন আকারে সভাপতির কাছে দেওয়ার কথা। কিন্তু গত ২ জুন বর্তমান কমিটি যে কাজ করেছে, তাতে করে তাদের কাছে এমন আবেদন জানাতেও রুচি বোধে বাঁধছে। তাই এটি মূলত সবাইকে অবহিতমূলক খোলা চিঠি।”

এদিকে এ চিঠির কিছুক্ষণ পরই ‘কিছুটা দায়মুক্তি নেয়ার চেষ্টা’ শিরোনামে মিজানুর রহমান মহিম (মহিম মিজান) তার প্রতিক্রিয়ায় লিখেন : “(নিয়ম অনুযায়ী এটা আবেদন আকারে সভাপতির কাছে দেওয়ার কথা। কিন্তু গত ২ জুন বর্তমান কমিটি যে কাজ করেছে, তাতে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির কাউকেই আর এই সংগঠনের নেতা বলতে ঘৃণাভরে অস্বীকৃতি জানাচ্ছি। এটি একটি অবহিতমূলকপত্র।) আমি মিজানুর রহমান মহিম (মহিম মিজান) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ২০০৮ সাল থেকে। আমি মনে করি বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি সংগঠনের নাম এবং সকল সদসস্যের নাম ব্যবহার করে তাদের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতিবাচক এবং আমার দৃষ্টিতে চরম বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পুরো সাংবাদিক সমাজকে এবং বিশেষ করে ক্র্যাব সদস্যেদের সাধারণের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। তাদের এই অনৈতিক এবং নীতি বিবর্জিত ও চরমমাত্রায় মানহানিকর কর্মকাণ্ডের কারণে আমার পরিবার, স্বজন এবং বন্ধুদের কাছে হেয় হয়েছি, প্রতিনিয়ত হচ্ছি।”

পারভেজ রেজার মতো করে মহিম মিজানও লিখেন, “আত্মীয় স্বজন, সহকর্মী, বন্ধু, পরিচিত এমনকি অপরিচিতজনরাও প্রশ্ন তুলছে আমরা সংবাদকর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে এবং সাংগঠনিকভাবে টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছি কিনা? তাদের এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নাই? তাই দিতেও পারছি না। এরপর অনেকে এটাও জানতে চান, এই সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমার পকেটে কত টাকা এসেছে এবং সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, আমরা সবাই সম্প্রতি গুলশানের একটি আত্মহত্যার প্ররোচিত মামলার প্রধান অভিযুক্ত একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছ থেকে টাকার ভাগ পেয়েছি?”

ক্র্যাবের এই সদস্য আরো লিখেন, “সাধারন মানুষের কাছে সাংবাদিকদের সম্পর্কে এমন ধারণা তৈরিতে আমার যেসব নেতারা কাজ করেছে তাদের প্রতি ঘৃণা জানানোই সবচেয়ে উত্তম বলে মনে করছি। সময়, প্রেক্ষিত ও মাত্রাজ্ঞান ভুলে যান, তারা যেকোনো সংগঠনকে নেতৃত্ব দেওয়ারও সব যোগ্যতা হারান। তাই এই কমিটির কোনো সদস্যকেই আর সংগঠনের নেতা হিসেবে মানছি না। তাদের প্রতি সম্পূর্ণভাবে অনাস্থা আনলাম। যদি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ সাধারণ সভা না ডেকে তারা তাদের আস্থাহীনতার ভোটাভুটি না করেন, তাহলে এই কমিটি থাকা অবস্থায় সংগঠনের সাধারণ সদস্য হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলাম।”

মহিম মিজান আরোও লিখেন, “এই কমিটি থাকা অবস্থায় আমাকে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা, চিঠি, কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, এর সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকবে না। এই কমিটি আমাদের সাধারণ সদস্যদের নাম ব্যবহার করে যদি কোনো কিছু এনে থাকে, তাদের সেইসব গ্রহণ করা জিনিস বা টাকা কোনো কিছুর ভাগিদার আমি হবো না। তাদের কোনো ধরনের অপকর্মেরও (যেটা তারা সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে করছেন) ভাগিদার সাধারণ সদস্য হিসেবে আমি হবো না। এমনকি এই কার্যনির্বাহী কমিটি চলমান থাকা অবস্থায় আমি যদি কোনো ধরনের বিপদেও পড়ি, তবুও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি যেন আমার পক্ষে কোনো ধরনের অবস্থান না নেয়। মোদ্দা কথা হচ্ছে, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি থাকা অবস্থায় ক্র্যাবের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।”

এর আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বুধবার (২ জুন) দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আনভীরের বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান ক্র্যাব নেতারা। এ সময় আনভীরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা। সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় দেশের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা ছাড়াও, সায়েম সোবহান আনভীর নারী পাচার রোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীসহ সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

এসময় ক্র্যাবের সহসভাপতি নিত্য গোপাল তুতুর নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক হাসান-উজ-জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আরিফ, দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রুদ্র মিজান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রুদ্র রাসেল, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম সাত্তার রনি, এস এম মিন্টু হোসেন, কাজী জামশেদ নাজিম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পারভেজ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগরণ অনলাইনকে বলেন, “ওরা (আনভীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন যারা) হয়ত ক্র্যাবের স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সিদ্ধান্তটা খুব একটা ভালো হয়নি। আমি মনে করি না, এটা (সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত) কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়েছে। এটা হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে সবাই মিলে ওরা যেত না। তারপরেও বলবো, এ ধরনের সিদ্ধান্তে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়নি।”

একজন আলোচিত আসামির সঙ্গে সাংবাদিকদের এভাবে দেখা করা কতটুকু নৈতিক ও আইনসম্মত, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ জাগরণ অনলাইনকে বলেন, “যেহেতু সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাকে মামলায় গ্রেপ্তার করেনি, সে ক্ষেত্রে তার সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনায় আইনি কোনো বাধা নেই। তবে যারা তাকে (আনভীর) সংবর্ধনা দিচ্ছেন, তাদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।”

এ নিয়ে ক্র্যাবের সহসভাপতি নিত্য গোপাল তুতুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগরণ অনলাইনের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের সংগঠনের (ক্র্যাব) সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের সঙ্গে কথা বলেন।”

আলাউদ্দিন আরিফের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি সংবর্ধনার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমরা কাউকে কোনো সংবর্ধনা দিইনি। আপনি এখানে ভুল করছেন।”

ছবি ও খবর প্রকাশের বিষয়টি উল্লেখ করলে আলাউদ্দিন আরিফ বলেন, “নিউজে সংবর্ধনার কোনো কথা উল্লেখ নেই। আমরা উনার (আনভীর) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। আমরা কারও সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই পারি। এটা আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ।”

এর আগে দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পর গত ২৯ মে শনিবার রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডসংলগ্ন বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকালে হঠাৎ করেই জনসমক্ষে আসেন বসুন্ধরা গ্রুপের এই এমডি। সেদিন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের (২০২১-২৪) নির্বাচন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ও করেন তিনি। এ নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকাধীন ‘কালের কণ্ঠ’, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’, বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইনসহ সব কটি মিডিয়ায় বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা একাধিক গণমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশিত হয়।

মুনিয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার ৩৩ দিনের মাথায় হঠাৎ জনসমক্ষে আসেন মামলার প্রধান আসামি আনভীর। জামিন না নিয়ে গুরুতর একটি মামলার আসামি এমন প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ঘটনায় নানা মহলে সমালোচনা ও প্রশ্ন উঠছে। দেশে থাকলেও তাকে খুঁজে না পাওয়ায়, প্রশ্ন ওঠে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি নিয়ে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় নিন্দা জানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, মুনিয়া ‘হত্যার’ ঘটনায় অভিযুক্ত আনভীরকে গ্রেপ্তার করছে না কেন পুলিশ? জামিন না নিয়ে তিনি কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরছেন? টাকা ও ক্ষমতার কাছে কি আইন অসহায়? সামনে পেয়েও গণমাধ্যমকর্মীরা কেন মুনিয়ার মৃত্যুর বিষয় তাকে প্রশ্ন করল না? এমন প্রশ্ন ওঠে সচেতন নাগরিক সমাজে।

ক্র্যাব তো অপরাধবিষয়ক বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে ক্রীড়া বিষয়ে কেন এই আগ্রহ বা সাক্ষাৎ—এমন প্রশ্নের জবাবে ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করি। সায়েম সোবহান একজন ব্যবসায়ী। সেই হিসেবে উনার সঙ্গে আমরা দেখা করেছি।”

গত ২৬ এপ্রিল সোমবার রাজধানীর গুলশানের দুই নম্বর অ্যাভিনিউয়ের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর প্লটের বি/৩ ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান।

মামলার এজাহারে বাদী বলেন, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিরা। দুই বছর আগে মুনিরা ও আনভীরের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন। তাদের প্রায় সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুত্র দৈনিক জাগরণ

6 responses to “বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীরকে কেন্দ্র করে ক্রাইম রিপোর্টারেরা বিভক্ত”

  1. … [Trackback]

    […] Here you will find 92994 additional Information on that Topic: doinikdak.com/news/22022 […]

  2. … [Trackback]

    […] Read More here on that Topic: doinikdak.com/news/22022 […]

  3. … [Trackback]

    […] Read More here on that Topic: doinikdak.com/news/22022 […]

  4. Webb.org says:

    … [Trackback]

    […] Find More to that Topic: doinikdak.com/news/22022 […]

  5. BIPOC says:

    … [Trackback]

    […] Read More Information here to that Topic: doinikdak.com/news/22022 […]

  6. … [Trackback]

    […] Find More here on that Topic: doinikdak.com/news/22022 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.