ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
নুসরাত হত্যার ঘটনা প্রবাহ নিয়ে গবেষনার কাজে ঢাবি’র অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা
পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী
সোনাগাজীতে নুসরাত হত্যার ঘটনা প্রবাহ নিয়ে গবেষনার কাজে ঢাবি'র অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা

ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনা প্রবাহ নিয়ে গবেষনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ক্রিমোনোলজি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা।

বুধবার(২ জুন) বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতিক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্র মোঃ আলী ইসরাক ও রেজাউল করিম সোহাগ ফেনীতে আসেন।

ফেনীতে অবস্থান করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট হাফেজ আহমদ,  মামলার বাদী পক্ষের আইনজিবী এডভোকেট শাহজাহান সাজু এবং আদালতে দায়িত্বরত  পুলিশ পরিদর্শক জিলানীর সাথে সাক্ষাত করেন।  কাজ শেষ করে সোনাগাজীর উদ্দেশ্যে ছুটেন অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা

সোনাগাজীতে এসে প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন,  এরপর সোনাগাজী মডেল থানায় এসে অফিসার ইনচার্জ সাজেদুল ইসলাম পলাশের সহযোগিতায় থানার দোতলায় একটি কক্ষে অবস্থান করে মামলার বাদী নিহত নুসরাত জাহান রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন।

এরপর স্থানীয় সাংবাদিক আমজাদ হোসাইন নাহিদ (দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিনিধি) এবং আবুল হোসেন রিপন (দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি) সাথে

সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। তারপর মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউজ্জমান বাবু এবং সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ ইয়াসিন এর সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। এসময় ঢাবি’র অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্রের সাথে সাথে সাংবাদিক এস.এস আবছার (দৈনিক স্টারলাইন এর সোনাগাজী প্রতিনিধি) দেখা করে তাদের আগমন ও সাক্ষাৎকার গ্রহন সহ সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন, তারা জানান নুসরাত হত্যার ঘটনা প্রবাহ, প্রশাসনের তদন্ত, পুরো বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের দৃষ্টিভঙ্গি সহ সার্বিক দিক নিয়ে তারা গবেষনা করবেন।

তবে এই গবেষনা কাজ কোন ভাবেই মামলার চলমান বিচারিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত নয় এবং এতদ সংক্রান্ত কাজে প্রভাব পেলবেনা।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা সোনাগাজী এলে তাদের কে সহযোগিতা করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিলো, তাই তাদের কে সহযোগিতা করেছি।

উল্লেখ্য নুসরাত হত্যা মামলায় সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার তৎকালিন অধ্যক্ষ সিরাজুদ্দৌলাহ, মাদ্রাসা গভর্ণিং বডির সহ-সভাপতি ও তৎকালিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমিন সহ ১৬জনকে মৃত্যুদন্ড দেয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদ। এসব আসামীরা চট্টগ্রাম,  কুমিল্লা ও ফেনী কারাগারে বন্দী আছেন এবং উচ্চ আদালতে ডেথ-রেফারেন্স ও আপিল শুনানীর জন্য অফেক্ষমান আছে।

x