ঢাকা, শনিবার ১০ জুন ২০২৩, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
ডুমুরিয়ায় টাকার অভাবে নিভে যাচ্ছে আমির হামজার চোখের দৃষ্টি
রাশিদুজ্জামানসরদার, ডুমুরিয়া

ডুমুরিয়ার আমির হামজা পৃথিবীর আলো দেখতে চায়। এই অবুজ শিশুটিও চায় অন্যান্য শিশুদের মতো খেলা করতে। ভাগ্য দোষে জন্মেছে গরীব ঘরে। টাকার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পেরে ধীরে ধীরে নিভে যেতে বসেছে শিশুটির চোখের জ্যোতি।

কথা বললে জানাযায় উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের বেতাগ্রামের এক হত দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহন করে শিশুটি। পিতা আব্দুল হান্নান ও মাতা সালমা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান মোঃ আমির হামজা। পিতা আব্দুল হান্নান একজন দিন মজুর। দিন আনে দিন খায়। সহায় সম্পত্তি বলতে ৪ শতক জমির উপর বসত ভিটা। ৫ জনের পরিবারে খেয়ে না খেয়ে চলে তাদের সংসার। ৪ বছর আগে সংসারে আলোকিত করে আসে শিশু আমির হামজা। অন্যান্য শিশুদের মতো সেও খেলাধুলা করতো । গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম নজরে আসে হামজা চোখে কম দেখার বিষয়টি।

সেই থেকে দিশেহারা পিতা হান্নান। একদিকে একদিন কাজ না করলে মুখে ভাত জোটেনা। অন্যদিকে পরিবারে বৃদ্ধ মা সহ অসুস্থ স্ত্রী।বড় ছেলে রিফাত হোসেন ৩য় শ্রেণীতে পড়ে। ছুটেছেন বহু লোকের কাছে কোন জায়গা থেকে আসেনি হামজার চোখের আলো ফিরে পাওয়ার কোন আশার আলো। অসহায় পিতা তারপরও অনেক কষ্ঠ করে দেখিয়েছেন ডাক্তার। ডাক্তারদের মতে চিকিৎসা করাতে পারলে হামজা ফিরে পাবে তার চোখের আলো, দেখতে পাবে পৃথিবীটাকে। কিন্তু যে পরিমানে টাকা প্রয়োজন সেটা তার পক্ষে জোগাড় করা কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়।

আর অন্যদিকে ছেলে হামজার চোখের জ্যোতি দিন দিন নিভে যেতে বসেছে। ছেলের কথাগুলো বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন পিতা আব্দুল হান্নান (মোবাঃ ০১৯৬৩-৯৯১৭৯২)। তাই তিনি সমাজের দাতা সংস্থা, বিত্তবান, দানশীল ব্যাক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন ছেলে হামজার চোখের চিকিৎসা করানোর জন্য। এবিষয় নিয়ে কথা বললে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আলিম বলেন, পরিষদে সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছে ভূক্তভোগীর পিতা, আমরা সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করছি।পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও দাতা সংস্থাদের অসহায় শিশুটির চোখের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আহবান জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x