ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
ভৈরবে মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও তার সন্তানের পাশে দাড়ালেন ইউএনও
Reporter Name

জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও তার নবজাতক সন্তানের পাশে মানবতার হাত বাড়িয়ে পাশে দাড়ালেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট লুবনা ফারজানা। খবর পেয়ে আজ দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঐ ভারসাম্যহীন মা ও তার সন্তানের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে মা ও সন্তানকে দেখে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোজ খবর নেন। আদালতের নির্দেশনা আসা পর্যন্ত তাদের দেখাশুনার দায়িত্ব দেন হাসপাতালের পরিবাার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো ঃ খোরশেদ আলমকে। বর্তমানে মা ও সবজাতক সন্তান উভয়েই ভাল আছেন।

এলাকাবাসী জানান, গতকাল সন্ধায় শম্ভুপুর রেল লাইন সংলগ্ন এলাকায় একটি স মিলের বাড়ান্দায় প্রসব বেদনায় কাৎরাচ্ছিল এই ভারসাম্যহীন নারী । তখন এলাকার জনৈক কয়েকজন মহিলা গয়ে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে রাত ১১ টার সময় ওই নারী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে মা তার ছেলেকে দত্তক দিতে রাজী নন। সে তার এ ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে তবু ছেলেকে আর হাত ছাড়া করবেনা।

হাসপাতালের পরিবাার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো ঃ খোরশেদ আলম বলেন , এ মানসিক ভারসাম্যহীন প্রসূতি মাকে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি তাকে নিয়া আসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে। পাগলি প্রচন্ড রকম ভায়োলেন্ট থাকায় তাকে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছিলো না। এরই মধ্যে দুবার ছুটে বেড়িয়ে গিয়েছিল হাসপাতালের বাইরে। অবশেষে ইমার্জেন্সি ও লেবার টিমের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এই শুন্দর ফুটফুটে শিশুর জন্ম দেয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শিশু ও তার মাকে দেখতে আসেন। এসময় তিনি পরম মমতায় শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। অনেক বুঝিয়ে তিনি শিশুটিকে কোলে নেন। এসময় তিনি শিশুটিকে নতুন জামা কাপড় উপহার দেন। তিনি জানান, শিশু ও তার মাকে কিশোরগন্জ সমাজসেবা অধিদপ্তর অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হবে। পরে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ঢাকার ভবঘূরে সদনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে ।

x