এম,এ রাজ্জাক স্টাফ রিপোর্টার: মা দিবসের এই দিনে কালেরকণ্ঠ অনলাইন সেকশনের সহ-সম্পাদক কাওসার বকুলের মা খাদিজা বেগমের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে।নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে সাংবাদিক বকুলের বাড়িতেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত খাদিজা বেগমের মাথায় হাসুঁয়া দিয়ে কোপ এবং লাঠি দিয়ে বারংবার আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত খাদিজা বেগম এখন মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ রবিবার ইফতারের পরপর পৌনে ৭টার দিকে কাওসার বকুলের মা খাদিজা বেগম বাড়িতে একা ছিলেন। তার স্বামী রমজান আলী ধান কাটা উপলক্ষে ছিলেন মাঠে। এমন সময় বাড়িতে উপস্থিত হয় একই গ্রামের ইউছুফ আলীর স্ত্রী জোছনা বেগম এবং তার মেয়ে রিয়া।খাদিজা বেগমকে উঠোনে একা পেয়ে জোছনা বেগম তার মাথায় হাসুঁয়া দিয়ে পরপর আঘাত করতে থাকেন। আর তার মেয়ে রিয়া লাঠি দিয়ে আঘাত করছিলেন। মিনিখানেকের মাঝে এই ঘটনা ঘটিয়ে খাদিজা বেগম মারা গেছেন ভেবে দুজনেই পালিয়ে যান।
এদিকে জোছনা-রিয়াকে হাসুঁলি আর লাঠি হাতে কাওসার বকুলদের বাড়ির দিকে যেতে দেখেন প্রতিবেশী জামাল হোসেন এবং আদুরী বেগম। তারা খারাপ কিছু আশংকা করে এগিয়ে গিয়ে দেখেন খাদিজা বেগম রক্তাক্ত এবং অজ্ঞান অবস্থায় উঠোনে পড়ে আছেন। আক্রমণকারী দুজন ততক্ষণে পগার পার। ওই সময় জামাল হোসেন, আদুরী বেগম, জমিলা বেগম, ফাতেমা বেগমসহ কয়েকজন প্রতিবেশী মিলে খাদিজা বেগমকে উদ্ধার করে সাবাইহাটের স্থানীয় চিকিৎসক ডা : মোজাম্মেল হকের কাছে নিয়ে যান।
ডা : মোজাম্মেল হকের চিকিৎসায় খাদিজা বেগমের জ্ঞান ফিরে আসে।তখন তিনি জানান যে, অভিযুক্ত জোছনা বেগম তাকে হাসুঁয়া দিয়ে কোপ দেয় আর রিয়া লাঠি দিয়ে হামলা করে। ডা : মোজাম্মেল রোগীকে রাজশাহী মেডিক্যালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব হয়নি। প্রতিবেশিরা খাদিজা বেগমকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে। খাদিজা বেগম বর্তমানে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ঘটনার পেছনের কারণ নিয়ে সাংবাদিক কাওসার বকুল জানান, ২০১৮ সালে এই জোছনা বেগম অমানবিক এক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।তিনি কাওসার বকুলদের ২২ দিন বয়সী একটা বাছুরকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন! ওই সময় ঘটনাটি মিডিয়াতেও আসে। গ্রাম্য সালিশে জোছনা বেগম ঘটনার দায় স্বীকার করে সর্বসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কাওসার বকুলের ধারণা ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই জোছনা বেগম তার মায়ের ওপর হামলা চালিয়েছেন। ঘটনার পর কাওসার বকুলের পরিবার এখন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।এ ব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, হামলার বিষয়ে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।