পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরীঃ- ফেনীর পরশুরামে করোনা কালীন মহাসংকটে আবারও সাজেল চৌধুরীর ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
পৌর এলাকা সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন একাধিক ইউনিট গঠন করে রাতের আধাঁরে কর্মহীন, দরিদ্র, হতদরিদ্র এবং মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা দিলেন পৌর মেয়র সাজেল চৌধুরী।
অসুস্থতা জনিত কারণে হাসপাতালের বেডে শুয়ে শনিবার (০১ মে) সন্ধায় উপজেলা ছাত্রলীগ এর আহ্বায়ক জমির উদ্দিন ভাবনের মুঠোফোনে ভিডিও কলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
করোনার মহাসংকট কালে দুর্ভাগাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ক্রমেই বাড়ছে। মধ্যবিত্ত, নিন্ম মধ্যবিত্ত, অসহায়, হতদরিদ্র এবং দরিদ্র, কর্মহীন সব মানুষগুলি এখন এককাতারে দাঁড়িয়েছেন। সেসব অসহায় মানুষের দুদর্শার কথা ভেবে মেয়র সাজেল চৌধুরী ত্রাণ কর্মীরা অবিরাম ছুটে চলছে। মানবতার বাহনগুলি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ত্রাণসামগ্রী ।
অদৃশ্য করোনাভাইরাসে বেশীরভাগ মানুষ এখন বিপর্যস্ত, কঠিন এক মুহুত্বের মুখোমুখি। করোনা সংকট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। প্রাণঘাতি এই মহামারির তান্ডবে মানুষ চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক জমির উদ্দিন ভাবন জানান গত বছরও করোনার সংকটে পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল এর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পরশুরাম উপজেলার অসংখ্যজনকে ত্রান-সহায়তা দিয়েছিলেন।
তিনি আরো জানান করোনা প্রাদুর্ভাবের জনগনকে সচেতন পাশাপাশি এর আগে পরশুরামে প্রায় ৪০ হাজার মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, সাবান সহ করোনা প্রতিরোধক সামগ্রী বিতরণ। পরশুরাম বাজারে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো, সরকারী অফিস সহ বিভিন্ন অফিসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, হ্যান্ড ওয়াস বিতরণ করেছিলেন।
জানা যায় তারই ধারাবাহিকতায় চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আলু সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণের দীর্ঘমেয়াদী মহাকর্মযজ্ঞ শুরু করা হয়েছে। গত বছরও খাদ্রসামগ্রী সহ কয়েকদফা মুরগি, মাছ, ডিম, শাকসবজি বিতরণ করেছেন।
ফেনী জেলা পরিষদ সদস্য এম. সফিকুল হোসেন মহিম জানান দিনমুজুর, কিংবা হতদরিদ্রের আয়ের সবরকম পথ বন্ধ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এমনসব মানুষদের খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়ীতে নিয়মিত ভাবে মেয়র সাজেল চৌধুরীর নির্দেশে ত্রাণকর্মীরা খাবার পৌছে দিচ্ছেন।
সাজেল চৌধুরী শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই দিকে তাঁর সুস্থতা কামনা করে পরশুরামের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করে যাচ্ছেন।